চলতি মৌসুমে শ্রীপুরে ১৩ কোটি টাকার লিচু বিক্রি!
ভালো ফলনে খুশি বাগান মালিকরা
প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
চলতি মৌসুমে কিছুটা প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও গাজীপুরের শ্রীপুরে লিচুর আশানুরূপ ফলনে খুশি বাগান মালিকরা। তবে যাতায়াত খরচ বৃদ্ধি ও উচ্চ হারে খাজনা আদায় করায় প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে কিছুটা হতাশ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নিয়মিত বাগান পরিদর্শনের পাশাপাশি যথাসময় কীটনাশক সার-সেচ প্রদানে বাগান মালিকদের পরামর্শ দেওয়ার কথা জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, শ্রীপুর উপজেলায় এ বছর ৬৬৭ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। এসব বাগানের ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫০টি গাছ থেকে উৎপাদিত লিচু ১৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সরেজমিন উপজেলার পৌর এলাকা, বরমী, গোসিংগা, রাজাবাড়ী ও তেলিহাটি ইউনিয়নের বাগান গিয়ে দেখা যায়, রসাল পাকা লিচুর মিষ্টি গন্ধে পরিপূর্ণ বাগানগুলো। মালিকরা ইতোমধ্যে বাগান বেচে দেওয়ায় এখন শুধু বাজারে তোলার প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। বিরূপ আবহাওয়া ও জৈষ্ঠ্যের খরতাপে দুশ্চিন্তায় থাকলেও অধিক সেচ-সার দেওয়ায় এ বছর আশানুরূপ ফলন হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে নিয়মমাফিক পরিচর্যার পর ভালো দাম পেয়ে খুশি বাগান মালিকরা।
পৌর এলাকার ভাংনাহাটি গ্রামের বাগান মালিক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, 'আমি কেঁচো সার ব্যবহার করেছি। এবার লিচু বিক্রি করে আমি লাভবান।'
যাতায়াত খরচ বৃদ্ধি ও খাজনার দাম পরিশোধ করে তেমন লাভের মুখ দেখেনি বলে জানিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আমির হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, 'বাজারে লিচু প্রায় শেষ করেছি। এখন হিসাব-নিকাশ করছি। যাতায়াত খরচ বৃদ্ধিতে সব খরচ বাদ দিয়ে এবার তেমন লাভের টাকা পাইনি।'
নিয়মিত পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে বাগান মালিকদের পাশে ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, 'যথাসময় সার-বীজ ও অন্যান্য যত্নের প্রয়োজনে সবসময়ই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাগান মালিকরা যে কোনো মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করেছে।'