বগুড়ায় ফতেহ আলী ব্রিজ পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু

বাঁশের ব্রিজেই হবে সাময়িক চলাচল

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়া শহরের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের অন্যতম সংযোগ রক্ষাকারী ফতেহ আলী ব্রিজ পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। করতোয়া নদীর ওপর এ ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় প্রায় ১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ধরা হলেও ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে আরও প্রায় ২০ কোটি টাকা। ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটির পুনর্নির্মাণে ভাঙার কাজ চলতি মাসে শুরু হলেও চলাচলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এজন্য আগে সেখানে জনচলাচলের জন্য বাঁশের ব্রিজ নির্মাণ করে তার পর ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। মঙ্গলবার সেই বাঁশের ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয়েছে। সওজ বলছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বাঁশের ব্রিজ নির্মাণ শেষ হলে মূল ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ব্রিজের রেলিং ভাঙা শেষ। শহরের মাঝ দিয়ে করতোয়া নদী প্রবাহিত হওয়ায় পূর্বাংশের সঙ্গে শহরের মূল অংশের যোগাযোগে ফতেহ আলী ব্রিজ ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে আসছে। কারণ এটি শুধু শহরের পূর্বাংশ নয় জেলার পূর্বাঞ্চলের ৩টি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কারণেও ব্রিজটির ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৬২ সালে ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছিলে। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই সময় সাময়িক বাঁশের ব্রিজ নির্মাণ হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। পরে ফতেহ আলী ব্রিজ সংস্কার করা হলে চলাচলের উপযুক্ত হয়। তবে ৬০ বছরেরও বেশি পুরাতন এই ঐতিহাসিক ব্রিজ বহু ব্যবহারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় ২০১৮ সালে সওজ এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে এটি পুনর্নির্মাণের দাবি ছিল। দৃষ্টিনন্দন ভাবে ব্রিজটি পুনর্নির্মাণের অনুমোদন হয় গত বছরের ডিসম্বরে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক কাজ শুরু করে ১৭ মে আর গত ২২ মে বগুড়া সদর আসনের এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ব্রিজ পুনর্নির্মাণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বগুড়া সওজ'র নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, বর্তমানে ব্রিজটির দৈর্ঘ্য রয়েছে ৬৫ মিটার এবং প্রস্ত প্রায় ১৮ ফুট। নতুন ব্রিজটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৯ মিটার এবং প্রস্ত প্রায় ৪০ ফুট। তিনি জানান, জায়গার দাম বেশি হওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় বেশি হবে।