ফুলবাড়িয়ায় নদী দখল করে স্থাপনা নিমার্ণ

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা
ফুলবাড়িয়ার বানার নদী দখল করে স্থাপনা নিমার্ণ Ñযাযাদি
ফুলবাড়িয়ার এক সময়ের খরস্রোতা নদী আখালিয়া, বানার, কলমদারি ও বাজুয়া। চারটিই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় নদী। এক সময় রাস্তাঘাটের পরিবতের্ মানুষ নদীপথে মালামাল আনা নেয়া করত। তখন এসব নদীতে চলাচল করেছে স্টিমার, লঞ্চ ও নৌকা। নদী ভরাট ও ড্রেজিং না করায় চারটি নদী নাব্য সংকটে প্রায় মৃত হয়ে গেছে। আর এ সুযোগে নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নিমাের্ণর মহোৎসব চলছে। রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণরামপুর মৌজার নকশা অনুযায়ী বাবুগঞ্জ বাজারে মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া বানার নদীর প্রস্থ রয়েছে ৮২ ফুট। নদীটি ভরাট করে অবৈধভাবে বসতবাড়ি ও দোকানঘর নিমার্ণ করায় এখন মূল নদীর ১৫ ফুট প্রস্থও নেই। খরস্রোতা বানার নদীটি ভরাট করে দখলের ফলে নাব্য হারিয়ে এটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। পৌর সদরের ভালুকজান ব্রিজ থেকে পূবর্ ও দক্ষিণ পাশে তাকালে দেখা যায় আখালিয়া নদীর ওপর একটি ভবন নিমাের্ণর কাজ চলছে, যা উপজেলা ভূমি অফিসের সবোর্চ্চ দেড়শত গজ দূরত্বে। বহুলতল ভবনটি নিমার্ণ করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী। ভূমি অফিস থেকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য নিষেধ করলেও রাতের অঁাধারে দ্রæত কাজ করা হয় বলে এলাকাবাসী জানায়। পরবতীের্ত সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিমার্ণকাজটি বন্ধ করে দেন। পাটিরা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বানার নদীর দুই পাড় অনেকটা দখল হয়ে গেছে। বেশির ভাগ জায়গাতে নদী সরু হয়ে গেছে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য নদীর পাড় দখল করে তিনতলা ভবন নিমার্ণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সরেজমিন দেখা যায়, বাবুগঞ্জ বাজারের ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন বানার নদী ভরাট করে উভয় পাশে গড়ে তোলা হয়েছে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি বসতবাড়ি ও দোকান ঘর। অনেকে দখল করে এসব ভাড়া দিয়েছেন। বাবুগঞ্জ বাজার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে স্থানীয় প্রভাবশালী আজিজুল হক নদীর ওপর পিলার তোলে বিল্ডিং নিমার্ণ করে দখল করে নিয়েছে। নদী ভরাট করে ও বঁাশ ও সিমেন্টের খুঁটি ব্যবহার করে অনেকে দোকানঘর নিমার্ণ করেছে। বাবুগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মীজার্ মো. ফজলুল হক বলেন, দখলদারদের হাত থেকে নদীটি উদ্ধার ও ড্রেজিং করা বিশেষ প্রয়োজন। নদীর ওপর ঘরের পিলার নিমার্ণকারী আজিজুল হক বলেন, জোতদারের (প্রকৃত মালিক) কাছ থেকে জমি ক্রয় করে বিল্ডিং নিমার্ণ করেছি, নদী দখল করে নয়। নদীর ওপর আপনার ঘরের পিলার দেখা যাচ্ছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এটা এক সময় বানার নদী ছিল, এখন এটি খাল। উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ লীরা তরফদার বলেন, যতবড় প্রভাবশালী হোক নদী ভরাট ও দখল করে যারা অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণ করেছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও নদীর ওপর অবৈধ নিমার্ণকৃত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।