চিকিৎসক সংকটে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ব্যাহত

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আবুবকর সিদ্দিকী, নাগরপুর
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেট Ñযাযাদি
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সিভিল সাজর্ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পদ রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালটেন্ট (সাজাির্র) জুনিয়র কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) আবাসিক মেডিকেল কমর্কতার্, তিনটি মেডিকেল কমর্কতার্, ডেন্টাল সাজর্ন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চমর্) জুনিয়র কনসালটেন্ট (কাডির্ও), জুনিয়র কনসালটেন্ট (অথোর্), জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এএনটি) জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), মেডিকেল কমর্কতার্ (হোমিও), সহকারী সাজর্ন (প্যাথলজিস্ট), মেডিকেল কমর্কতার্ (আইএমও), মেডিকেল কমর্কতার্ (ইএমও), সহকারী সাজর্ন (গাইনি), সহকারী সাজর্ন (অ্যানেসথেসিস্ট)সহ ২২টি পদ রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ আশরাফ আলী, আবাসিক মেডিকেল কমর্কতার্ রোকুনুজ্জামান, দুইজন মেডিকেল কমর্কতার্ মাহমুদুল হাসান ও শরিফুল ইসলাম, ডেন্টাল সাজর্ন মোখলেসুর রহমান এবং মেডিকেল কমর্কতার্ (হোমিও) শরিফ উদ্দিনসহ ছয়জন ডাক্তার কমর্রত রয়েছেন। ফলে ছয়জন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালের কাযর্ক্রম চলছে। হাসপাতালের ১৬টি পদ শুন্য রয়েছে। কাঠুরি গ্রামের আলেয়া খাতুন জানান, গভর্বতী কোনো নারীকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা করানের কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কোনো রোগী হাসপাতালে এলে ক্লিনিক অথবা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ আশরাফ আলী বলেন, মাত্র ছয়জন চিকিৎসক দিয়ে বিশাল এ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব নয়। চিকিৎসকের যেমন সংকট রয়েছে তেমনি রয়েছে যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জনবল ও যন্ত্রপাতির চাহিদাপত্র দিয়ে তা পাওয়া যাচ্ছে না ।