কালাইয়ে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

কালাই (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতাল Ñযাযাদি
৫০ শয্যার জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের প্রতিদিন দীঘর্ লাইনে দঁাড়িয়ে থেকে চরম দুভোর্গ পোহাতে হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক যুগ আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে ৩১ শয্যার কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন। সে সুবাদে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসকের পদ সংখ্যা হয় ২৬টি। এ পদগুলোর বিপরীতে কমর্রত থাকার কথা- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সাজাির্র) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (কাডির্ওলজি) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অথোর্) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (পেড্রিয়াটিক) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (চমর্ ও যৌন) একজন, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার একজন, মেডিক্যাল অফিসার দুইজন, ডেন্টাল সাজর্ন একজন এবং সহকারী সাজর্ন অথবা মেডিক্যাল অফিসার ১১ জন। ওই ২৬টি পদের বিপরীতে বতর্মানে কমর্রত আছেন আটজন চিকিৎসক। তারা হলেনÑ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি অ্যান্ড অবস) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (কাডির্ওলজি) একজন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অথোর্) একজন, মেডিক্যাল অফিসার একজন, ডেন্টাল সাজর্ন একজন, সহকারী সাজর্ন অথবা মেডিক্যাল অফিসার দুইজন। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলার থুপসাড়া গ্রামের জহুরা ও নঈমুদ্দিন, হারুঞ্জা মিরাজ ও সহিদা বিবিসহ অনেকে জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক কম, রোগী বেশি। তাই দীঘর্ সময় লাইনে দঁাড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে তাদের কষ্ট হয়। নাম প্রকাশ না করার শতের্ কমর্রত একজন চিকিৎসক জানান, চিকিৎসকের এ সংখ্যা উপজেলার প্রায় তিন লাখ জনসংখ্যার অনুপাতে অত্যন্ত অপ্রতুল। বহিবির্ভাগ ও আন্তঃবিভাগ মিলে এখানে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার্ ডা. মনজুর আহমেদ চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শূন্য পদগুলো পূরণ করার জন্য ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষ বরাবরে বারবার লিখিত করেও লাভ হয়নি। তবে শিগগিরই এ সংকট দূর হবে বলে তিনি আশাবাদী।