দুই গ্রামে ৮ ইটভাটায় বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই গ্রামে ৮ ইটভাটায় বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রভাবশালীরা সরকারি বিধি লংঘন করে অবৈধভাবে স্বরুপপুর ও সাদিপুর গ্রামে ফসলি জমিতে ৮টি ইটভাটা গড়ে তুলেছে। ফলে, মারাত্মক পরিবেশ বিপযের্য়র পাশাপাশি দুটি গ্রামের জনস্বাস্থ্য চরম ঝঁুকির মধ্যে পড়েছে। এলাকাবাসী এসব ইটভাটা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছে আবেদন করেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আল সালেহ মামুন , হজমুদ্দিনের ছেলে ইদবার আলী, মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে আনারুল ইসলাম ও স্বরুপপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আবু বক্কর অবৈধভাবে সাদিপুর গ্রামের তিন ফসলি জমিতে জনবসতি এলাকায় পঁাচটি ইটভাটা স্থাপন করেছে। পাশ্বর্বতীর্ স্বরুপপুর গ্রামে মৃত শাসুদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও বজলুর রহমান এবং ইয়াকুব হালসানার ছেলে নুরুল ইসলাম তিনটি ইটভাটা স্থাপন করেছেন। ফলে এই দুই গ্রামের রাস্তাঘাট ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে দৌলতপুর হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকায় সম্পূণর্ আবাদি জমিতে ইয়াছিন আলী, জহুরুল আলম ও আব্দুল্লাহ তিনটি ইটভাটা স্থাপন করেছেন। দৌলতপুর কলেজ ও দাখিল মাদ্রাসার পাশে আব্দুল হান্নান ও চক দৌলতপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে রমজান আলী, দৌলতপুর থানার পূবর্ পাশে খাসজমিতে নজরুল ইসলাম, রিফাইতপুর জোয়াদ্দারপাড়া গ্রামে শহিদুল ইসলাম ওলি, পাশ্বর্বতীর্ গলাকাটি মোড়ে ঝুমুর আলী, আব্দুস সালাম ও নজরুল ইসলাম, বড়গাদিয়ায় হাবলু মোল্লা, খলিশাকুন্ডিতে কামাল হোসেন, ডাংমড়কায় কুষ্টিয়া প্রাগপুর সড়কের সঙ্গে খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, ফজলুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ৩০টি ইটভাটা স্থাপন করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, জনবসতি এলাকায় অসংখ্য ইটভাটার ফলে সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের চমের্রাগে আক্রান্ত হচ্ছে। দৌলতপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিএইচএ ডা. অরবিন্দ পাল জানান, দীঘির্দন ইটভাটার ধেঁায়া বাতাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করায় শ্বাসকষ্ট, হঁাপানি ও নানা ধরনের চমের্রাগে আক্রান্ত হবে। এলাকাবাসী জানায়, ইটভাটাগুলোর অধিকাংশের লাইসেন্স না থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে জনবহুল এলাকা ও ফসলি জমিতে ইটভাটা বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ শারমিন আক্তার জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।