বড়পুকুরিয়ায় শ্রমিকদের দাবি পূরণ

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিশ্রমিকদের ২৪ ঘণ্টার আন্দোলনে পূরণ হলো ১৮ মাসের দাবি। প্রফিট বোনাস ও নৈমিত্তিক ছুটির দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কমির্বরতি কমর্সূচি পালন করে খনিটির চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও এক্সএমসির অধীনে খনিশ্রমিক ও তৃতীয় পক্ষের অধীনে কমর্রত শ্রমিকরা। শ্রমিকরা কমির্বরতি কমর্সূচি শুরু করলে, মঙ্গলবার বিকালে খনি কতৃর্পক্ষের সাথে একটি সমঝোতা বৈঠক হয়। সমঝোতা বৈঠকে খনি কতৃর্পক্ষ আন্দোলনরত শ্রমিকদের গত ১৮ মাস থেকে বাকি থাকা নৈমিত্তিক ছুটি ও বঞ্চিত শ্রমিকদের প্রফিট বোনাস দেয়ার আশ^াস দেয়ায় শ্রমিকরা ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবারও কাজে যোগ দেয়। সমঝোতা বৈঠকে খনিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমানসহ খনির পদস্থ কমর্কতার্, আন্দোলনরত বড়পুকুরিয়া খনিশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ানসহ ১০ জন শ্রমিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনরত বড়পুকুরিয়া খনিশ্রমিক কমর্চারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, বড়পুকুরিয়া খনিশ্রমিক ইউনিয়নের অধীনে খনিতে কমর্রত চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে এক হাজার ৮৬ জন ও তৃতীয় পক্ষের অধীনে কমর্রত ২৫২ জন শ্রমিক। প্রতি বছর তৃতীয় পক্ষের অধীনে কমর্রত শ্রমিক ও চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কমর্রত শ্রমিক এবং খনিতে কমর্রত অবস্থায় বিভিন্ন দুঘর্টনায় আহত ও নিহত শ্রমিক পরিবারগুলোকে একসঙ্গে প্রফিট বোনাস প্রদান করলেও এবার চয়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কমর্রত এক হাজার ৮৬ জনকে প্রফিট বোনাস দিলেও তৃতীয় পক্ষের অধীনে কমর্রত ২৫২ জন এবং দুঘর্টনায় আহত ছয়জন ও নিহত সাতজন শ্রমিক পরিবারকে প্রফিট বোনাস প্রদান করা হয়নি। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী নৈমিত্তিক ছুটি ও গ্রাচুইটির টাকা গত ১৮ মাস থেকে পরিশোধ করেনি কতৃর্পক্ষ। এ কারণে শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটি ও বঞ্চিত শ্রমিকদের প্রফিট বোনাসের দাবিতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে কমর্স্থলে অবস্থান ধমর্ঘট কমর্সূচি শুরু করে শ্রমিকরা।