চৌহালী-এনায়েতপুর নৌযোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

এনায়েতপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর মাঝে বিশাল চর জেগে উঠায় নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে Ñযাযাদি
পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় যমুনার বুকে জেগে উঠেছে বিশাল চর। ফলে সিরাজগঞ্জের চৌহালীর সঙ্গে এনায়েতপুরের নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে নৌকার মাঝি-মাল্লা ও যাত্রীদের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। এ অঞ্চলের অধর্লক্ষাধিক মানুষকে যমুনা সেতু অথবা পাবনার বেড়া উপজেলা ঘুরে গন্তেব্যে পেঁৗছতে হচ্ছে। এতে সময় ও অথের্র অপচয় হচ্ছে। জানা যায়, পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় প্রায় দেড় মাস আগে যমুনা নদীর মাঝ বরাবর বিশাল চর জেগে উঠেছে। এতে নৌপথে যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে যে কোনো সময় চৌহালী সঙ্গে এনায়েতপুরের নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এনায়েতপুর ঘাটের নৌকার মাঝি মামুন সরকার ও স্বপন আলী জানান, নভেম্বর মাস থেকে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। এখন পানির গভীরতা সবির্ন¤œ পযাের্য় এসে ঠেকেছে। ফলে নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় চর ডুবোচর। বিশেষ করে এই নৌপথের সদিয়া চঁাদপুর ইউনিয়নের খাসইজারাপাড়া থেকে রানজানপুর পযর্ন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বিশাল চর জেগে উঠেছে। চৌহালী উপজেলা সদর থেকে জেলা সদরে যাতায়াতে মাধ্যম এনায়েতপুর বোড়িবঁাধ ঘাটের নৌযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এখন যাত্রী ও পণ্য বোঝাই বড় বড় নৌযানগুলোকে উত্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যমুনা সেতু অথবা দক্ষিণে প্রায় ২৮ কিলোমিটার ঘুরে পাবনার বেড়া উপজেলা হয়ে ঘুড়াপথে এনায়েতপুর যাতাযাত করতে হচ্ছে। এতে সময় ও অথের্র অপচয় হচ্ছে, যাত্রী ও নৌকার মাঝি-মাল্লাদের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। নৌকার যাত্রী রুহুল আমিন, সারওয়ার হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম আলম মাস্টার বলেন, অব্যাহত পানি হ্রাসের ফলে যমুনার বুকে বিশাল চর জেগে ওঠায় নৌকাসহ অন্যান্য নৌযান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরবাসীকে মাইলের পর মাইল হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সদিয়া চঁাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজ জানান, এনায়েতপুর নৌকা ঘাট থেকে চৌহালী উপজেলা সদরে যেতে বষার্ মৌসুমে সময় লাগত মাত্র এক ঘণ্টা। আর এখন লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা। এতে অতিরিক্ত সময় ও অথর্ খরচ হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মÐল বলেন, যমুনায় চর জেগে ওঠায় পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরকারিভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথটি সচল রাখার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।