সখীপুরে ঝুঁকিপূণর্ ভবনে পাঠদান

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইল সখীপুর বিদ্যালয়ের দেয়াল পিলার ও বিম ফেটে গেছে। দুঘর্টনা এড়াতে বঁাশের খুঁটি দিয়ে ঠিকা দিয়ে রাখা হয়েছে Ñযাযাদি
সখীপুর উপজেলার কৈয়ামধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল ভবনের শ্রেণিকক্ষের আস্তর ভেঙে খসে খসে পড়ছে। বিকল্প কোনো ভবন না থাকায় ওই জরাজীণর্ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। জানা যায়, ১৯৭২ সালে কৈয়ামধু প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩-৯৪ সালের অথর্বছরে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নিমার্ণ করা হয়। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পুরনো এ বিদ্যালয়ে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষাথীর্ রয়েছে। এতে অফিস, লাইব্রেরি, শ্রেণিকক্ষসহ ৮টি কক্ষের প্রয়োজন হলেও পুরনো ভবনে মাত্র ৪টি কক্ষ রয়েছে। অনেক স্থানে ছাদের ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। ভবনটি একেবারেই ক্লাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনটিতে কোনোরকমে জোড়াতালি দিয়ে চলছে শিক্ষাথীের্দর লেখাপড়া। বতর্মানে ভবনেই প্রতিটি জয়েন্টে জয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষাথীর্রা। বৃষ্টি হলেই ক্লাসে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূণর্ ভবনে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টির পাঠদান কাযর্ক্রম। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের নাজেহাল অবস্থার জন্য শিক্ষাথীর্র সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের দেয়াল ফেঁটে গেছে পিলার ও বীম ফেঁটে গেছে আশঙ্কা এড়াতে বঁাশের খুঁটি দিয়ে বীম ঠিকা দিয়ে রেখেছি, ছাদ দিয়ে পানি পড়ে বেঞ্চ এবং মেঝেতে পানি জমে থাকে আবার কখনো ছাদের ফঁাটা অংশ ভেঙ্গে পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কমর্কতার্ মানবেন্দ্র দাস বলেন, ঝুঁকিপূণর্ ও জরাজীণর্ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত ও তালিকা তৈরি করে জরুরিভাবে মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।