বেনাপোল পিকনিক ট্র্যাজেডি

ভালোবাসায় ৯ শিশুর মৃত্যুবাষির্কী পালিত

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা
বেনাপোল পিকনিক ট্র্যাজেডি
বুকে তীর বিদ্ধ অবস্থায় উড়ছে ৯টি কবুতর। শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। আর পাশেই রক্তের স্রোতে বইয়ের বণর্মালা মুছে যাচ্ছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমার বণর্মালা তুমি ভালো থেকো।’ ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি মমাির্ন্তক সড়ক দুঘর্টনায় যশোরের বেনাপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ৯ শিশু শিক্ষাথীর্ নিহত হয়। বেনাপোলে শুক্রবার দিনভর নিহত শিশু শিক্ষাথীের্দর স্মরণ করে তাদের ৫ম মৃত্যুবাষির্কী পালন করা হয়েছে। সেদিন সকালে মায়ের কোলে বসে সাজুগুজু করে বাবার হাত ধরে পিকনিকের উদ্দেশে গাড়িতে চেপে বসেছিল এসব সোনামণি। সেদিন মুজিবনগরে পিকনিক শেষে বাসে বাড়ি ফেরার পথে যশোরের চৌগাছার ঝাউতলা এলাকায় পৌঁছলে তাদের পিকনিকের বাসটি উল্টে ২৫ জন শিক্ষাথীর্ গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে ৬ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় আরও ৩ শিশু। অকালে ঝরে যাওয়া শিশুদের স্মরণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। ওই স্তম্ভ নিয়ে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, হারিয়ে যাওয়া কোমলমতি শিক্ষাথীর্রা ছিল উড়ন্ত পাখির মতো। এরা একদিন বড় হয়ে দেশের সম্পদ হতে পারত। সেদিন তাদের বঁাচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আঘাত এত গুরুতর ছিল যে শেষ পযর্ন্ত বঁাচানো সম্ভব হয়নি। আমি চাই, যুগ যুগ ধরে মানুষ তাদের স্মরণে রাখুক হারানো কোমলমতি শিশু শিক্ষাথীের্দর। তাই তাদের নামে এ ধরনের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভে সব স্কুল-কলেজ ও এমপি শেখ আফিল উদ্দিনসহ সব রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিত্বরা ফুল দিয়ে বিনম্র্র শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানান। আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মজনুর রহমান মজনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাশার্ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, শাশার্ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুর রব, শাশার্ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহিদ, নাভারন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল, বেনাপোল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু প্রমুখ।