মৌলভীবাজারে বাণিজ্যিকভাবে টাকির্ পালন

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আব্দুল ওয়াদুদ, স্টাফ রিপোটার্র, মৌলভীবাজার
পযর্টন জেলা ও চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারে টাকির্ মুরগি পালনে এখন অনেকেই এগিয়ে এসেছে। একসময় শুধু শহরে সৌন্দযর্বধের্নর জন্য ও শখের বশে পালন করা হতো এ জাতের মুরগি। এখন টাকির্ মুরগির ফামর্ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক বেকার যুবক-যুবতী স্বাবলম্বী হয়েছেন। মৌলভীবাজারে ২০১৫-১৬ সালে এ জাতের মুরগি পালন শুরু হয়। দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে এ জেলায় মাংসের চাহিদা বাড়ায় এসব মুরগি এখন অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। টাকির্ মুরগি প্রতি কেজি ৪শ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে গ্রাম-গঞ্জে। স্থানীয় খামারিরা জানান, ৩-৪ মাস যতœসহকারে পালন করলে প্রতিটা ওজনে ৯-১০ কেজি হয়ে থাকে। বাজার থেকে বাচ্চা মুরগি এনে দেড়-দুই মাস ফিড খাইয়ে একটু বড় করলে পরবতীের্ত গ্রামাঞ্চলের সবুজ ঘাস খেয়ে এরা বড় হয়ে ওঠে। এই সময়ে গরু-ছাগলের সাথে এদের খাটনি দিলেই অল্পতে লাভবান হওয়া যায়। জেলার অন্যতম বৃহৎ হাওর কাউয়াদিঘি অঞ্চলের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম, রাহুল দাশ, আব্দুল খালিক, সামু আহমদ, তারেক আহমদ, ইমাদ ও আলম আহমদ শখের বশে মুরগি পালন শুরু করলেও এখন অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে পালন করছেন। টাকির্ খামারি আলম আহমদ জানান, প্রথমে তিনি এক মাস বয়সী ১৬টি টাকির্ বাচ্চা কিনে পালন শুরু করেন। এখন প্রতিটার ওজন প্রায় সাড়ে চার কেজি। এগুলো বিক্রি করে ফের কিনে পালন করব। আলম আরও বলেন, এ জাতের মুরগি পালনের নিয়ম না জানার কারণে কিছুটা পিছিয়ে আছি। সরকারের তরফ থেকে এ পেশায় সহযোগিতা করা হলে আমরা আরও উৎসাহ পেতাম। জেলা প্রাণিসম্পদ কাযার্লয় সূত্রে জানা যায়, টাকির্ মুরগি বিদেশি প্রজাতির একটি প্রাণী। বাংলাদেশে এই টাকির্ মুরগির চাষ শুরু হয় ২০১০ থেকে ২০১১ সালে। বতর্মানে বাংলাদেশে খাদ্যতালিকায় টাকির্ মুরগি অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। টাকির্ মুরগির রোগবালাই অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কম হয়ে থাকে। একটি টাকির্ মুরগির ওজন হয়ে থাকে ৮ থেকে ৯ কেজি। একটি টাকির্ বছরে ১শ থেকে ১২০টি ডিম দিয়ে থাকে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ ডা. মো. রুহুল আমীন বলেন, টাকির্ মুরগি পালন খুবই সহজ। এদের রোগবালাই কম। এরা ঘাস খেয়ে বড় হয়। এখন সব জায়গায় এ জাতের মুরগি পালন বেড়েছে। এ মুরগির বাজার তৈরি হতে শুরু করেছে। মানুষ এখন এ মুরগি খেতে পছন্দ করে।