সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি বন্ধ ১৮ দিন

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
সোনাহাট স্থলবন্দরের প্রধান ফটক Ñযাযাদি
ভারতীয় অংশে জটিলতার কারণে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ১৮ দিন ধরে আমদানি কাযর্ক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে এ বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা আথির্ক ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি থেকে এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথর আমদানি বন্ধ রয়েছে। বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতীয় অংশে ব্যবসায়ীরা সরকারি ঘোষণার চেয়ে অতিরিক্ত পাথর ও কয়লা ট্রাকে তুলে বাংলাদেশে পাঠাত। এ কারণে তাদের কয়েকটি সেতু ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারতীয় গণপূতর্ বিভাগ ওভারলোডিংয়ে আপত্তি জানায়। এতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে ভারতীয় সড়ক দিয়ে ওভারলোডেড ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোনাহাট স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল ইসলাম বলেন, বন্দরটি চালু হওয়ার পর এই অঞ্চলের প্রায় দুই হাজার মানুষ বন্দরে লোড-আনলোডসহ অন্যান্য কাজ করে জীবিকা নিবার্হ করে আসছে। এ অবস্থায় প্রায়শই পণ্য না আসায় বন্দরের কাযর্ক্রম বন্ধ থাকছে। এতে শ্রমিকরা এখন পেশা পরিবতের্নর কথা ভাবছে। সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বন্দরটি চালু করার পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসা শুরু করে; কিন্তু ভারতীয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে এলসি করেও কয়লা ও পাথরের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীঘর্ সময়। গত মাসের ২৮ তারিখ থেকে মালামাল আসছে না ভারতীয় অংশে জটিলতার কারণে। সোনাহাট স্থলবন্দর সিএন্ডএফ সভাপতি সরকার রাকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দরের সকল ব্যবসায়ী লোন নিয়ে ব্যবসা করছেন। বছরের এই সময়টা ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য কয়লা এবং কনস্ট্রাকশনের জন্য পাথর চাহিদা বেশি থাকে বিধায় ব্যবসায়ীরা এই সময়ে কিছুটা লাভ করতে পারে। সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই বন্দরটি চালু করার পর অনেক আশা নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি এবং দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসা শুরু করে; কিন্তু ভারতীয় প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে এলসি করেও কয়লা ও পাথরের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীঘর্সময়। সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্প কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারতীয় অংশে বিভিন্নমুখী সমস্যার কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে; তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা না থাকায় মজুদকৃত পাথর-কয়লা বিক্রয় চলছে। সোনাহাট স্থল বন্দরের সহকারী রাজস্ব কমর্কতার্ মাসুদ হাসান বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে স্থলবন্দরের কাযর্ক্রম বন্ধ রয়েছে ১৮ দিন থেকে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরাও বিষয়টি ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে অবহিত করেছি।