এবার উদ্বোধনের অপেক্ষায় দ্বিতীয় করতোয়া সেতু

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীর ওপর প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নিমার্ণাধীন করতোয়া সেতুর নিমার্ণকাজ শেষ দিকে। এখন বাকি রয়েছে কেবল সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। আগামী বছরের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাযাের্দশ অনুযায়ী ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩১৫ মিটার দীঘর্ এ সেতুর নিমার্ণকাজ শুরু ও ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নিধাির্রত সময়ের মধ্যে নিমার্ণকাজ সম্পন্ন করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ পযর্ন্ত তিনবার সময় বাড়িয়েছে। ইউনিয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুটির নিমার্ণকাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। আর এটি নিমার্ণ করছে ইসলাম ট্রেডাসর্ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটি নিমাের্ণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ কোটি ৬১ লাখ ৯৫ হাজার ২২৫ টাকা। ৩৫ মিটার দূরত্বে ৯টি স্প্যান ও ১৬টি পিলারের ওপর সেতুটি নিমার্ণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সেতুর মূল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেতুর দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক নিমার্ণকাজ চলছে, যা আগামী মাসেই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে সেতুটি নিমাের্ণর শুরু থেকেই স্থানীয়রা বিশ্ববরেণ্য ফোকলোরবিদ অত্র এলাকার কৃতী সন্তান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ ও বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলামের নামে এটির নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছে। গাড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় ড. মযহারুল ইসলামের নামে এই সেতুর নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, সেতু চালু হলে করতোয়া নদীর পূবর্ পাড়ের সঙ্গে উপজেলা সদরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী উপজেলা উল্লাপাড়া ও বেলকুচিসহ সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জানান, আগামী এক মাসের মধ্যেই সেতুর সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে।