চরমÐল লঞ্চঘাটে পন্টুন কোনো উপকারেই আসে না

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে চরমÐল লঞ্চঘাটে পন্টুন নিধাির্রত স্থানের বাহিরে স্থাপনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা Ñযাযাদি
ঘাট আছে, পন্টুন আছে। তবে একটা থেকে আরেকটা বিচ্ছিন্ন। এতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমÐল লঞ্চঘাটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। জোয়ারের সময় হঁাটুপানিতে ও ভাটার সময় কাদা মাটি পেরিয়ে তাদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের চরমÐল লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ৪০ গজ দূরে অল্প পানির মধ্যে একটি পন্টুন রয়েছে। সেখানে পানি অল্প থাকায় পন্টুনটিতে লঞ্চ ভেড়ানো যায় না। তাই পন্টুনের পরিবতের্ ঘাটলায় লঞ্চ ভেড়ানো হয়। তবে ঘাটলা নিচু থাকায় লঞ্চে ওঠানামায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আবার জোয়ারের সময় ঘাটলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হঁাটুপানিতে নেমে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হয়। চরমোন্তাজ লঞ্চঘাটের কয়েকজন যাত্রী জানান, তিন বছর আগে চরমÐল লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃর্পক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) একটি পন্টুন স্থাপন করে। তবে ঘাট থেকে দূরে রাখার কারণে পন্টুনটি যাত্রীদের কোনো উপকারেই আসে না। অথচ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পঁাচ শতাধিক যাত্রী লঞ্চে আসা-যাওয়া করে। লঞ্চযাত্রী আল মামুন বলেন, ‘এখানে ঘাট টিকিট কাটলেও কোনো সেবা নেই। দীঘির্দন পর একটা পন্টুন দিয়েছে, তাও কাজে আসছে না।’ চরমÐল লঞ্চঘাটে ঘাট টিকিট কাটার দায়িত্বে নিয়োজিত জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘পন্টুন যেখানে রাখার কথা, সেখানে না রেখে অন্য স্থানে লাগিয়ে লোকজন চলে গেছে। পন্টুনে লঞ্চ-ট্রলার কিছুই ঘাট দিতে পারে না। এই পন্টুন কোনো উপকারেই আসে না।’ চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘ঘাটের সঙ্গে পন্টুন থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। এটি ঘাটের সঙ্গে স্থাপন করা প্রয়োজন।’ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কতৃর্পক্ষ (বিআইডবিøউটিএ) পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক ও নদী বন্দর কমর্কতার্ খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।’