রমেক হাসপাতাল চলছে মেয়াদোত্তীণর্ অগ্নিনিবার্পকে

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ রংপুর
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের সবকটি অগ্নিনিবার্পক যন্ত্র মেয়াদোত্তীণর্। এমনকি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঠিকমত সংস্কার হয়নি বিদ্যুৎ লাইন। সবমিলে হ য ব র ল অবস্থা। এ কারণে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। ফলে ঝুঁকিপূণর্ হয়ে উঠেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতাল ও কলেজ সূত্র জানায়, স্বাধীনতার আগে নগরীর ধাপ এলাকায় স্থাপিত হয়েছিল ৫০০ শয্যার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি। এটিতে তখন যেভাবে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং করা হয়েছিল, এখনো সে অবস্থায়ই আছে। মাঝে-মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে সংস্কার করা হলেও নতুন করে ওয়্যারিং করা হয়নি জানালেন হাসপাতল পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায়। সম্প্রতি ঢাকার সোহরাওয়াদীর্ হাসপাতালে অগ্নিকাÐের পর টনক নড়ে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের। এ নিয়ে উচ্চপযাের্য় লেখালেখির পর নতুন করে ট্রান্সপোটর্ স্থাপনে উদ্যোগ নেয়া হয়। তিনি জানান, নতুন ট্রান্সপোটের্র মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ হবে হাসপাতালে। লোডশেডিং হলেও জেনারেটর ব্যবহৃত হবে না। এখন লোডশেডিংয়ে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খেঁাজ নিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতাল ও কলেজে অগ্নিনিবার্পক যন্ত্রগুলোর প্রত্যেকটি মেয়াদোত্তীণর্। ২০১৬ সাল থেকে এক বছরের জন্য মেয়াদ ছিল। এর পর থেকে আর অগ্নিনিবার্পক যন্ত্রগুলোতে গ্যাস ভরা হয়নি। হাসপাতালের ওয়াডর্, অফিস, কলেজ ও স্টোররুমে একই অবস্থা। অথচ এই হাসপাতালটি এখন এক হাজার শয্যার। রোগী থাকে তিন থেকে চার গুণ। সেখানে বতর্মানে ব্যবহার হয়ে আসছে ৫ শতাধিক এয়ারকন্ডিশন মেশিন। আছে এমআরআই, সিটি স্ক্যানসহ নানা ধরনের মেশিন- জানায় হাসপাতাল সূত্র। মেডিকেল কলেজ সচিব ফজলুল হক জানান, হাসপাতালের মতো কলেজেও অগ্নিনিবার্পক যত্রগুলো মেয়াদোত্তীর্। অগ্নিকাÐের কোনো ঘটনা ঘটলে অগ্নিনিবার্পক যন্ত্রগুলো কাজ করবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। রংপুর ফায়ার সাভিের্সর সহকারী পরিচালক ইউসুন আলী জানান, হাসপাতাল ও কতৃর্পক্ষের উদাসীনতায় এটি ঝুঁকিপূণর্ অবস্থায় রয়েছে। তিনি ঝুঁকি এড়াতে দ্রæত অগ্নিনিবার্পক যন্ত্রগুলোতে গ্যাস ভরাসহ ফায়ার সাভিের্সর অন্যান্য মেশিন বসানো ও পানির হাউস করার দাবি জানান।