বঁাশঝাড় বিলুপ্ত হওয়ার পথে

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
বঁাশ উৎপাদনে অনাগ্রহ ও অপরিকল্পিতভাবে বঁাশ কতর্ন করায় বঁাশঝাড় প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা ক্রমশ বঁাশশূন্য হয়ে পড়েছে। একসময় এই উপজেলা বঁাশ উৎপাদনে ছিল প্রসিদ্ধ। গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতি বাড়ির পিছনে বা ফঁাকা জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বঁাশঝাড় গড়ে উঠত। বলতে গেলে একসময় পরগাছার মতোই এ উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে বঁাশ উৎপন্ন হতো। আর এসব বঁাশঝাড়ের জঙ্গলে বাস করত শিয়ালসহ অনেক বন্য প্রাণী। সেই সাথে অসংখ্য পাখির কলকাকলিতে বাঁশঝাড় থাকত মুখরিত। অপরিকল্পিত বঁাশ কতর্ন ও ঝাড়জঙ্গল উজাড় করে বসতবাড়ি নিমার্ণসহ বাঁশঝাড় রক্ষণাবেক্ষণকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় এ এলাকা বাঁশশূন্য হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এদিকে বঁাশ জাত কুটির শিল্পের ওপর নিভর্রশীল শত শত পরিবার বতর্মানে আথির্ক সংকটে নিপতিত হয়েছে। একসময় তারা বঁাশের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী যেমন- চাটাই, ঝুড়ি, কুলা, ডোল, দোলনা, ছাদ, ডালি, বানা, হাউ, সেইত, খলই, চালুনিসহ নানা প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি ও বিক্রি করে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতেন। উপজেলা সহকারী কৃষি কমর্কতার্ রবিউল ইসলাম জানান, এক একর জমিতে পাঁচ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে বঁাশের চাষ করলে গড়ে বছরে দুই লাখেরও বেশি টাকা মুনাফা করা সম্ভব। এ ছাড়া বঁাশ উৎপাদনে গোড়ায় মাটি দেয়া ছাড়া অন্য কোনো পরিচযার্ কিংবা বাড়তি কোনো খরচ নেই বললেই চলে।