লোকসানের মুখে ধুনটের টাকির্ খামারিরা

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ইমরান হোসেন ইমন, ধুনট
টাকির্ পালন করে লোকশানের মুখে পড়তে হয়েছে খামারীদের। ছবিটি ধুনটের চৌকিবাড়ি গ্রাম থেকে ভোলা হয়েছে Ñযাযাদি
বগুড়ার ধুনটে টাকির্ মুরগি পালন করে লোকসানের মুখে পড়ে খামারিরা। মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মুরগি মারা যাওয়ায় সবর্স্বান্ত হয়ে পড়েছে এখানকার খামারিরা। জানা গেছে, উপজেলার ১০ ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ টাকির্ মুরগির খামার রয়েছে। এসব খামারে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ও শৌখিনতার বসে টাকির্ পালন করছেন। গত একবছর আগে টাকির্ মুরগি ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এলাকার বেকার যুবকরা টাকির্ পালনে ঝুঁকে পড়ে। এদের মধ্যে চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের রুদ্রবাড়ীয়া গ্রামের টাকির্ মুরগির খামারি ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, তিনি একবছর আগে ৫০টি মুরগি পালন শুরু করেন। প্রথম পযাের্য় প্রতিটি ডিম ৫০০ থেকে ৬০০ এবং মুরগির মাংস ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। সে সময়ে ভালো দাম পাওয়ায় ধীরে ধীরে তার খামারে এখন ৩ শতাধিক মুরগি রয়েছে। তবে বতর্মানে বিভিন্ন রোগবালাই ও খাদ্যমূল্যের ঊধ্বর্গতি এবং টাকির্র মাংস ও ডিমের দাম কমে যাওয়ায় এখন তার খামার ধরে রাখাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, তার খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবকই টাকির্ পালন করে বতর্মানে লোকসানের মুখে পড়ে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছে। মাঠপাড়া গ্রামের আরেক খামারি আব্দুল লতিফ জানান, গত ৪ মাস আগে প্রতি জোড়া ৮০০ টাকা মূল্যে ৯৪ জোড়া টারকির্ মুরগির বাচ্চা ক্রয় করে খামার শুরু করেন। খামার শুরু থেকে বতর্মান সময় পযর্ন্ত খাদ্য, রোগবালাইয়ের ওষুধ ও পরিচচার্ বাবদ ৩ লাখ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু গত দুদিন আগে রানীক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে খামারের সব মুরগি একসঙ্গে মারা গেছে। এতে পুঁজি হারিয়ে এখন তিনি সবর্স্বান্ত। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ ডা. নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, টাকির্র সাধারণত রোগবালাই কম হয়। তবে বদ্ধঘরে পালন করলে বিভিন্ন রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই টাকিের্ক শুধু ফিড খাদ্য খাওয়ায়। এতে হঠাৎ করেই মৃত্যুঝঁুকিতে পড়ে। তাই ফিড খাওয়ানোর পাশাপাশি ঘাস ও লতাপাতা খাওয়ানো এবং খোলা জায়গায় ছেড়ে দিয়ে পালন করলে রোগবালাই অনেকটাই কমে আসবে।