কমলনগরে মেঘনার তীর রক্ষা বঁাধে ভাঙন

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

কমলনগর (ল²ীপুর) সংবাদদাতা
ল²ীপুরের কমলনগর মেঘনার তীর রক্ষা বঁাধের দক্ষিণ অংশে ভাঙন Ñযাযাদি
বষার্র শুরুতেই ল²ীপুরের কমলনগর মেঘনার তীর রক্ষা বঁাধের দক্ষিণ অংশে ভাঙন দেখা দেয়ায় হুমকির মুখে রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। বঁাধসহ বিস্তৃণর্ এলাকা নদীগভের্ বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় পরিবার নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। জানা গেছে, রোববার ভোররাতে উপজেলার মাতাব্বর হাট এলাকায় ১ কি.মি. নিমার্ণাধীন তীর রক্ষা বঁাধে ধস নামায় ভেঙে পড়েছে বøক বঁাধের প্রায় দুইশ’ মিটার। এদিকে ধস ঠেকাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বালুভতির্ কিছু জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা শুরু করেছে। দ্বিতীয় পযাের্য়র কাজ শুরু না হওয়ায় বঁাধের দুই পাশের এলাকায় অব্যাহতভাবে ভাঙছে। আশপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে বঁাধ ধসে পড়েছে। গত বষার্ মৌসুমেও ওই বঁাধে পঁাচবার ধস নামে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিমাের্ণ অনিয়ম করায় বারবার বঁাধে ধস নামছে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কমলনগরে নদী ভাঙন রোধে মাত্র এক কিলোমিটার বঁাধ নিমার্ণ হয়েছে। এই উপজেলা রক্ষায় তা যথেষ্ট নয়। প্রায়োজন আরও ৮ কিলোমিটার বঁাধ। যেটুকু বঁাধ হয়েছে তাতেও নানা অনিয়ম হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বঁাধের ভিতরে (নদীতে) ৪৫ মিটার জিও ব্যাগ (বালুভতির্ বিশেষ ব্যাগ) ও বøক যথাযথভাবে ডাম্পিং না করেই বঁাধ নিমার্ণ করে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের বালু ও জিও ব্যাগ। এ সব কারণে গত বছর বঁাধে ৫ বার ধস নামে। এ ছাড়াও অন্যত্র থেকে মাটি সংগ্রহ করে বঁাধ নিমার্ণ করার কথা থাকলেও নদীর তীর থেকে মাটি উত্তোলন করে বঁাধ নিমার্ণ করায় বারবার বঁাধে ধস নামছে। স্থানীয়রা মনে করেন, বঁাধ নিমার্ণ কাজ সেনাবাহিনীকে দিয়ে না করিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করানোই বারবার ধস নামছে। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টানর্ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এজিএম মাসুদ রানা বলেন, কমলনগরের মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে মাত্র এক কিলোমিটার বঁাধ যথেষ্ট নয়। তীর রক্ষা বঁাধের দুই পাশেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে করে নিমার্ণাধীন বঁাধের ওপর প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়াও নদীতে জোয়ার ও পানির উচ্চা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সব পরিস্থিতির কারণে বঁাধের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ল²ীপুর পানি উন্নয়ন বোডের্র নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, বঁাধ ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্বিতীয় পযাের্য়র বঁাধ নিমাের্ণর জন্য মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু তা অনুমোদন না হওয়ায় কাজ হচ্ছে না।