সাপাহারে বেড়েছে আমে ফ্রুট ব্যাগিং

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

রুহুল আমিন, নওগঁা
নওগঁার সাপাহারে আমে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি বৃদ্ধি পেয়েছে Ñযাযাদি
নওগঁার সাপাহারে আমে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আম চাষিদের কাছে সুপরিচিত হয়েছে। কীটনাশক, পোকামাকড়, বিরুপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমকে বঁাচাতে মূলত এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। সরকারিভাবে যদি এই ফ্রুট ব্যাগিং করার জন্য আমচাষিদের সাবির্ক সহযোগিতা প্রদান করা হতো তাহলে বিষমুক্ত সুস্বাদু আম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। নওগঁায় আমচাষে গত বছর থেকে শুরু হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি। ভালো জাতের আম সুপরিচিত সুমিষ্ট রসালো আম্রপালিতে কৃষকরা ফ্রুট ব্যাগিং করে থাকে। গত বছর থেকে ফ্রুট ব্যাগিংয়ের আম কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এ আমের চাহিদাও রয়েছে বেশ। কারণ কীটনাশক ও রোগমুক্ত হয় এই আম। দেশে প্রচার-প্রচারণায় আমচাষে নওগঁার নাম এখনো তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। তবে বতর্মানে কৌশলী আম ব্যবসায়ীরা নওগঁার আমকে রাজশাহী ও চঁাপাই নবাবগঞ্জের বলে বেশি দামে বিক্রি করছে। চলতি মৌসুমে নওগঁার আমের প্রচার-প্রচারণার কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি অফিসগুলো। সাপাহার উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত বছর প্রথম ২০ বিঘা জমিতে আম্রপালিতে ফ্রুট ব্যাগিং করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। এ বছর একই জাতের আমে ৪০ বিঘা জমিতে ফ্রুট ব্যাগিং করেছেন। মূলত কীটনাশক, পোকামাকড়, বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমকে বঁাচাতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এটি আধুনিক ও পরিবেশসম্মত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত আমে বিদেশে পাঠানোর জন্য যেসব গুণাগুণ প্রয়োজন তার সব গুণই বজায় থাকে। উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, শুধু রাজ্জাক নয়; তার দেখে এ অঞ্চলের অনেকেই শুরু করেছেন এই পদ্ধতিতে আম চাষ। ফ্রুট ব্যাগিং করার ফলে আম সব পোকামাকড় ও দুষণ থেকে রক্ষা পায়। তবে এই পদ্ধতি একটু ব্যয়বহুল হলেও আম বিক্রয়ের লাভ তা পুষিয়ে দেয়। কারণ এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত নিভের্জাল আমের কদর ক্রেতাদের কাছে অনেক। ক্রেতারা একটু বেশি দামে হলেও এই বিষমুক্ত আম কিনেন। তাই অনেক আমচাষি উদ্বুদ্ধু হচ্ছেন এই পদ্ধতির দিকে। নওগঁা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, ফ্রুট ব্যাগিং একটি আধুনিক ও পরিবেশসম্মত পদ্ধতি। কৃষকদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সভা সেমিনার করা হচ্ছে। তবে এই পদ্ধতির উপকরনগুলোর মূল্য কম ও সহজলভ্য হলে এই পদ্ধতি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত আম বিষমুক্ত তাই বতর্মান সময় ও আগামীতেও এর কদর অটুট থাকবে। চলতি বছর জেলায় প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ করা হয়েছে।