নাগেশ্বরীতে নদী থেকে বালু উত্তোলন

হুমকিতে রাস্তা ব্রিজ বাড়ি

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে দুধকুমর নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী। এতে হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তা, ব্রিজ, মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা ও শত শত বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা। এতে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের মোলস্নারভিটা এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দুধকুমর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকার নজরুল ইসলাম, হারুন মিয়া, রফিকুল ইসলামসহ একটি অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ড্রেজার বসিয়ে দুধকমর নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিজের পকেট ভারী করছে। এ ব্যাপারে এলাকার কোনো লোক বাধা দিলে তাকে মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয়রা আরও জানায়, এর আগে ওই এলাকায় বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট অকেজো হয়ে পড়ছে। তাই স্থানীয় সচেতন মহল কিছুদিন আগে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি গেড়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে, যাতে করে ট্রলি কিংবা ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তার ক্ষতি না হয়। তখন ওইসব অসাধু ব্যবসায়ী নাগেশ্বরী থানা পুলিশকে দিয়ে তাদের হুমকি প্রদান করে। ট্রলি ও ট্রাক্টর দিয়ে বালু পরিবহনের কারণে রাস্তাগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। এমনকি বালু উত্তোলনের ফলে বর্ষা এলে ওই এলাকাকার হাজারও পথচারীর একমাত্র চলাচলের মাধ্যম রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। ফুল মিয়া, আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় বালু উত্তোলনে বাধা দিলে তারা আমাদের হুমকি প্রদান করেন। মিজানুর রহমান নামের আরেকজন বলেন, আমার নিজের জমিতে রাস্তা করতে দিয়েছি। এখন মনে হয় রাস্তাটি থাকবে না। আমাদের বাড়িও নদী খেয়ে ফেলবে। বালু ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে লুকোচুরির কিছু নেই, আমরা প্রশাসনিক কোনো পারমিশন পাইনি। এসব বালু তোলা অন্যায়। নজরুল ইসলাম বলেন, আসলে যারা বালু উত্তোলন করছেন তারা আমার ভাই, চাচা এরকম নিজেদের মধ্যে। কিন্তু আমি নিজে জড়িত নই। যদি কেউ আমার নাম বলে থাকেন তবে ভুল বলেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।