আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও সাইন বোর্ড ইংরেজিতে

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা
বুগুড়ার আদমদীঘিতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইংরেজি সাইন বোর্ডের ছড়াছড়ি -যাযাদি
বগুড়ার আদমদীঘিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সাইনবোর্ড লেখা হয়েছে ইংরেজিতে। উচ্চ আদালতের নির্দেশের পাঁচ বছর পরও আদমদীঘি উপজেলার বহু স্‌াইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ইংরেজিতে লেখা হচ্ছে। অনেক কেজিস্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলোর নামও ইরেজিতে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানপ্রধান ও ব্যবসায়ীরা এই উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে এখনো অবগত নন বলে জানা গেছে। আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইংরেজিতে লেখার প্রবণতা বেশি। শুধু তাই নয়, ইংরেজিতে লেখা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, নামফলকের ছড়াছড়ি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা। উপজেলার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই জানেন না আদালতের এ রকম আদেশের কথা। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের ব্র্যান্ডের নাম ও লেগো ইংরেজিতে হওয়ার কারণে তারা ইংরেজিতেই সাইনবোর্ড তৈরি করেছেন। উপজেলার কিছু কোচিং সেন্টারের নাম ইংরেজিতে লেখা। উপজেলার প্রায় ১৫টি কোচিং, প্রি-ক্যাডেটসহ কয়েকটির অনুমোদন ইংরেজি নামেই। জানা গেছে, উপজেলার অনেক শিক্ষক ইংরেজিতে স্বাক্ষর করেন। উপজেলার প্রায় সব কয়েকটি বিউটি পার্লারের নাম ইংরেজিতে। উপজেলার সান্তাহার পোস্ট অফিস পাড়া-সংলগ্ন কয়েকটি কোচিং সেন্টারের পরিচালকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ইংরেজিতে নাম দিয়ে কখনো তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আদালতের আদেশের বিষয়টি তারা অবগত নন। আর এ বিষয়ে কেউ কখনো তাদের নিষেধও করেনি। উলেস্নখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রম্নয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এক আদেশে দেশের সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর পেস্নট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং মিশ্রভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলে। সংবিধানের ৩ অুনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এ ছাড়া বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭-এর ৩ ধারায়ও সরকারি অফিস-আদালত, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠানে চিঠিপত্র, আইন-আদালতের সওয়াল জবাব এবং অন্যান্য কাজে বাংলার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনর্চাজ মনিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আদালতের সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে এখনো কোনো নির্দেশনা না আসার কারণে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।