রামগতিতে চলছে অবৈধ ইটভাটা

হুমকিতে জীবন কৃষি ও পরিবেশ

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

রামগতি (লক্ষ্ণীপুর) সংবাদদাতা
লক্ষ্ণীপুরের রামগতি বৃহত্তর নোয়াখালীর শস্যভান্ডার এবং হাইব্রিড ফসল সয়াবিনের মাদারল্যান্ড নামে খ্যাত। বর্তমানে যা মাটি আগ্রাসীদের দখলে চলে যাচ্ছে। মাটি খেকোরা খেয়ে ফেলছে কৃষকের ফসলি জমির টপ সয়েল। যার ফলে অচিরেই হারিয়ে যেতে বসেছে কৃষকের ফসলি মাঠ এবং শস্যভান্ডার। সরেজমিন আহাম্মদ ও মোহাম্মদ আলীর পপুলার, লিটনের এমএএসবি, দিলদারের একেবি, আশ্রাফের এএবি, ফয়েজের এবিসি, পারভেজের কেবিএম, হান্নানের এ ডবিস্নউবি, বশির মাস্টারের পিবিএম, জহির মিয়ার বিবিএম, খলিল মাঝির এমবিএম, জমির কোং টিবিএম, শাহাদাতের এসএমবি, রফিকের এইচএমবি, কালাম মাঝির এনডিএমসহ উপজেলায় মোট ১৫টি ইটভাটা রয়েছে। উপজেলার চর রমিজ ও পোড়াগাছা দুটি ্‌ইউনিয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ইটভাটা। হাতেগোনা ২-১টি আছে অন্য ইউনিয়নে। সবগুলো ভাটাতে রয়েছে বিশাল বিশাল লাকড়ির কামাল। বিশেষ করে লিটনের এমএএসবি ও পপুলার ব্রিকসে দেখা যায়, আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনে তাদের ইটভাটায় লাকড়ি কাটার জন্য রয়েছে ফিল্ডের ভেতর অনুমোদনহীন অবৈধ করাতকল। স'মিল চালানোর জন্য বিদু্যতের পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থা। দিনরাত সমানতালে চলছে লাকড়ি কাটা ও পোড়ানোর মহোৎসব। এর ফলে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। সবুজ গাছপালা হয়ে গেছে লাল আর কৃষকের ফসলি মাঠ হয়ে গেছে হলদেটে বিবর্ণ। অন্যদিকে ইটভাটা স্থাপনের নীতিমালাকে লংঘন করে শিশুশ্রমিক নিয়োগ, বৃক্ষনিধন করে পরিবেশ ও বন আইনকে তোয়াক্কা না করে চালাচ্ছে অবৈধ ইটভাটা। ভাটাগুলোতে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও নিয়োজিত শ্রমিকদের নেই কোনো স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা। অভিযোগের বিষয়ে ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির নেতা হান্নান জানান, আমাদের ১৫টি ফিল্ডের মধ্যে ২-৩টি বৈধ অনুমোদন ও সব কাগজপত্র রয়েছে। বাকিগুলোর কাগজপত্র নেই। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক মিয়া জানান, বেআইনি কার্যক্রমকে বৈধ করার জন্য ইটভাটার মালিকরা হাইকোর্টে যায়। আদালতে আবেদন করে সে দোহাই দিয়ে তারা অত্যন্ত কূটকৌশলে অবৈধভাটাগুলো চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, যে কেউ অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।