শহীদ দিবস উপলক্ষে গদখালীতে ১৭ কোটি টাকার ফুল বিক্রি

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

এমআর মাসুদ ঝিকরগাছা
মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে যশোরের ঝিকরগাছায় ফুল কিনতে এসেছে শিক্ষার্থীরা -যাযাদি
আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দিনটি স্মরণ করতে বেড়েছে ফুলের কদর। সভ্য সমাজের শুরু থেকেই মানুষ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশে পবিত্র ফুল ব্যবহার করে আসছে। ডিজিটাল যুগেও এর কদর এতটুকু কমেনি। এর প্রমাণ মিলেছে দেশের সর্ববৃহৎ ফুল উৎপাদনকারী জোন বা ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ফুল বাজারে। গত তিনদিনে গদখালী ফুল বাজারে ১৭ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় পূর্বের বাজার দর থেকে কয়েকগুন বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের ফুলচাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। আজকের দিনটি ঘিরে গদখালীর আশপাশে রাস্তার দুই ধারে বসেছিল ফুলের ভ্রাম্যমাণ হাট। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা। গদখালীর পানিসারা হাড়িয়া মোড়ে ভ্রাম্যমাণ বাজারে ফুল কিনতে এসেছে ইব্রাহিম হাসান আসিফ ও তার সাত সহপাঠী। তারা জেলার মনিরামপুরের খাজুরা কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে তারা ৩৫ কিলোমিটার পথ ইজিবাইক ভাড়া করে গদখালীর পানিসারা হাড়িয়া মোড়ে ফুল কিনতে এসেছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের জন্য তারা ছয় হাজার টাকার ফুল কিনেছে। সরেজমিন জানা গেছে, গদখালী ফুল বাজারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে গত তিনদিনে গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি টাকার, গস্নাডিউলাস বিক্রি হয়েছে দুই কোটি ৬০ লাখ টাকার, আড়াই কোটি টাকার রজনীগন্ধা এবং গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে তুলনামূলকভাবে দাম কম পাওয়া সত্ত্বে জারবেরা বিক্রি হয়েছে দেড় কোটি টাকা। ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীর পাতা বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকা আঁটি, যা পূর্বে দাম ছিল ১০ টাকা। বাজারে কথা হয় উপজেলার নীলকণ্ঠনগর গ্রামের ফুলচাষি নূর হোসেনের সঙ্গে। তিনি ছয় বিঘা জমিতে গস্নাডিউলাসের চাষ করেছেন। গত তিনদিনে ১১ লাখ টাকার গস্নাডিউলাস ফুল বিক্রি করেছেন তিনি। হাড়িয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমান জানান, গত তিনদিনে আড়াই লাখ টাকার গোলাপ ফুল বিক্রি করেছেন। সৈয়দপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান গত তিনদিনে এক লাখ টাকার গাঁদা ফুল বিক্রি করেছেন।