সমস্যায় জর্জরিত রাবির শামসুজ্জোহা হল

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রধান ফটক -যাযাদি
বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট, স্বাস্থ্যকর খাবারের সমস্যা, গতিবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ, মশা-মাছির উৎপাত, ভবনের বিভিন্ন রুমের ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়া, ভালো মানের রিডিং রুমের ব্যবস্থা না থাকাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হলো কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবেই শিক্ষার্থীরা এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তবে হল কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের কাছে গেলে তা সমাধান করা হয়। অন্যান্য হলের তুলনায় এ হলের খাবারের মান অনেক নিম্ন্ন উলেস্নখ করে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ডাইনিংয়ে যে খাবার পরিবেশন করা হয় তা একদমই নিম্নমানের। এ ছাড়া রাত ৮টার পরে ডাইনিংয়ে খাবার পাওয়া যায় না। ফলে যারা টিউশনিসহ বিভিন্ন কাজ সেরে একটু রাতে রুমে ফেরেন তাদের খাবার জন্য ছুটতে হয় অন্য কোথাও। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাহ মখদুম হলে বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিল্টার ব্যবস্থা থাকলেও এই হলে পর্যাপ্ত টিউবওয়েলও নেই। হলে মাত্র তিনটি টিউবওয়েল রয়েছে। এতে বিশুদ্ধ পানির জন্য শিক্ষার্থীদের রীতিমতো চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, যে টিউবওয়েলগুলো আছে সেগুলো গভীর না হওয়ায় পানিতে বালুসহ ছোট ছোট পাথরের টুকরা পাওয়া যায়, যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, যে পরিমাণ রাউটার প্রয়োজন তার ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক রুম ইন্টারনেটের আওতায় আসে না। ভবনের মধ্যে অনেক জায়গার ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ে ইট-সুরকি ও রড বেরিয়ে গেছে। এছাড়া ফাটল ধরেছে প্রায় বেশ কিছু স্থানে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। সার্বিক বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. জুলকার নায়েন বলেন, 'শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ করছে তার সবগুলোর সত্যতা নেই। যে সমস্যগুলো রয়েছে তা অতিদ্রম্নত সমাধান করা হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপের কথাও জানান তিনি। এর মধ্যে রিডিংরুম সম্প্রসারণের জন্য টেন্ডার পাস হয়েছে। অতি দ্রম্নত কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। খাবারের মান আগের চেয়ে একটু খারাপ হয়েছে শিকার করে তিনি বলেন, মনিটরিংয়ের জন্য হাউজ টিউটর না থাকায় সমস্যাটি হয়েছিল। অন্যদিকে হলের ছাদ হতে পলেস্তর খসে পড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি প্রকৌশল দপ্তরে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে হলে কাজ করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান তিনি।