নানা সমস্যায় জর্জরিত দশমিনা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের প্রধান ফটক -যাযাদি
উপকূলীয় পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসক, কর্মচারী সংকট ও নানামুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি না থাকায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে সরকারি তেমন কোনো ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। গুণগত মানের স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। রোগীদের রয়েছে হাসপাতালসংশ্লিষ্টদের খারাপ আচরণের অভিযোগ। জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। আর চিকিৎসকদের মধ্যে একজন নানা সময়েই থাকেন বিভিন্ন প্রশিক্ষণে। স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপজেলার বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় ৩ জন চিকিৎসক উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মোট ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৮ জন লোকের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। আর এই ৩ চিকিৎসকের মধ্যে ১ জন চিকিৎসক চিকিৎসা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খান। মাঝেমধ্যে চিকিৎসকের সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটে। বর্তমান সরকার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ২ জন করে চিকিৎসক পদ সৃষ্টি করলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সসহ ২৩ জনের মধ্যে রয়েছে ৫ জন, পদশূন্য ১৮টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ২টি ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদশূন্য ২৪টি। এ ছাড়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নবনির্মিত ভবনের টয়লেট ও বাথরুমগুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী, এর মধ্যে বৈদু্যতিক যন্ত্রগুলো অকেজো, এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট রয়েছে। এত জনবল সংকট সত্ত্বেও দশমিনা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স ২০১৮ সালে মাতৃস্বাস্থ্য ও প্রসূতি সেবায় জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে দশমিনা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে স্বাভাবিক প্রসব করেছে ২০৩ জন ও ২০১৮ সালে ২৪০ জন মা প্রসব করেন। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে দেড় শতাধিক, আন্তঃবিভাগে ২৫-৩০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আবাসিক মেডিকেল, গাইনি বিশেষজ্ঞ ও ২ জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ শূন্যপদের লোকবল সংকট পূরণ জরুরি হয়ে পড়েছে, এক্স-রে মেশিনসহ টয়লেট, বাথরুমগুলো সংস্কার একান্ত প্রয়োজন। দশমিনা উপজেলার জনসাধারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের সংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।