দুই আসামির স্বীকারোক্তি

মুন্নীকে অপহরণের পর হত্যা করে মেঘনায় ফেলা হয়

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

রফিকুল ইসলাম রানা, আড়াইহাজার
আড়াইহাজারে হাজতে থাকা স্বামীকে জামিন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মুন্নী আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে অপহরণের পর হত্যা করে মেঘনায় ফেলে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। নিহতের সতিন রেহেনা বেগমের স্বজনরা এ কাজ করেছে বলে সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত সফর আলী ও স্বণার্ নামের অপহরণ মামলার ২ আসামি। পুলিশ জানায়, উপজেলার ব্রাহ্মন্দী শ্রীনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের একই গ্রামের তাইজুদ্দিনের মেয়ে রেহেনা বেগমের সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় দেড় বছরের মাথায় স্ত্রী রেহেনা বেগম পঁাচ মাসের কন্যাসন্তান এবং স্বামীকে রেখে সৌদি আরব চলে যায়। পরে আনোয়ারের সঙ্গে সংসার করবেনা বলে রেহেনা তাকে সাফ জানিয়ে উকিল নোটিশসহ তালাকের কাগজ পাঠায়। আনোয়ার গত তিন মাস আগে টাঙ্গাইলের মিজার্পুর  উপজলোর আখধনা গ্রামের বায়েছ বেপারির মেয়ে মুন্নী বেগম (২২) নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। রেহেনা বিদেশ থেকে এসে আনোয়ারের সঙ্গে মুন্নীর বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। মুন্নীকে মেরে পথ পরিষ্কার করতে চায় রেহেনা ও তার পরিবার। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগ খুঁজতে থাকে রেহেনার পরিবার। এদিকে আনোয়ারকে জামিন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে কৌশলে মুন্নীকে একটি স্থানে দেখা করার কথা বলে। গত ৯ জুন সকাল ১০টায় সফর আলীর কাছে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখেঁাজ হয় মুন্নী। এর পর আনোয়ারের পরিবার মুন্নী এবং সফর আলীকে বিভিন্ন স্থানে খেঁাজ করে তাদের সন্ধান পায়নি এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটোও বন্ধ পায়। এ ব্যাপারে মুন্নীর ননদ সহিতুন বেগম বাদী হয়ে আনোয়ারের প্রথম স্ত্রী রেহেনা বেগমকে ১নং আসামি করে আড়াইহাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় করিমন, স্বণার্, নুরজাহান, কামাল হোসেন ও সবের্শষ কুমিল্লার হোমনার মৌশারচর এলাকা থেকে প্রধান আসামি সফর আলীকে আটক করে। সফর আলী পুলিশের কাছে গৃহবধূ মুন্নী আক্তার হত্যাকাÐে নেতৃত্ব দেয়ার কথা স্বীকার করে বলে, ‘গলায় কাপড় পেঁচিয়ে মুন্নীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ সোনারগঁাও থানার নুনেরটেক এলাকায় মেঘনা নদীতে ফেলে দিয়েছি’। তবে লাশটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। আড়াইহাজার থানার (ওসি)  এম এ হক জানান, আটক সফর আলীর কাছ থেকে ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধারে পুলিশ ও ডুবুরি দল মেঘনা নদীতে কাজ করছে।