শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

পঁাচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
জয়পুরহাটের পঁাচবিবিতে এলবি পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে দীঘর্ দিন ধরে শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি অফিস সহকারী ও অফিস সহায়কের পদও শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে বারবার অবগত করার পরও প্রতিকার মিলছেনা। জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৪০ সালে স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি উপজেলায় শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদান রেখে আসছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখায় এর সুনাম এলাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্ররা এই বিদ্যালয়ে ভতির্ হয়ে থাকে। গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ঈষর্ণীয় সাফল্য অজর্ন করতে সক্ষম হয়। বিদ্যালয়ের অনেক মেধাবী মুখ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূণর্ পদে অধিষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাসহ দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন অনেকেই। বিদ্যালয়টির গুরুত্ব ও গৌরবগাথা সাফল্য বিবেচনা করে ১৯৮৭ সালে সরকারিকরণ করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে বতর্মানে শিক্ষক সংকটের কারণে পঁাচ শতাধিক শিক্ষাথীর্র পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকের ১৮টি পদের মধ্যে ৭টি পদ দীঘির্দন ধরে শূন্য রয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা, কৃষিশিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে একজন করে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া কমর্চারীর ৫টি পদের মধ্যে ৪টি শূন্য। অফিস সহকারীর ২টি পদ ও অফিস সহায়কের ২টি পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের কাজে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্ররা জানায়, শিক্ষক সংকটের কারণে প্রতিদিন কোনো না কোনো ক্লাস হয় না। এ ছাড়া জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় ওই সময় বিদ্যালয় ছুটি থাকে। তাই কোসর্ শেষ হয় না। অভিভাবকদের অভিযোগ তাদের সন্তানদের প্রাইভেটের মাধ্যমে কোসর্ শেষ করতে হয়। এ জন্য প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি নিজে ক্লাস নেন ও খÐকালীন শিক্ষক দ্বারাও ক্লাস পরিচালনা করে থাকেন। শিক্ষক ও কমর্চারী সংকটের বিষয়টি ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেও লাভ হয়নি।