বেড়িবঁাধ ভেঙে আশাশুনির বিস্তীণর্ এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

সোহরাব হোসেন, আশাশুনি
সাতক্ষীরার আশাশুনির খোলপেটুয়া, কপোতাক্ষ, বেতনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে পাউবোর বেড়িবঁাধ। কোনো কোনো জায়গায় ছাপিয়ে পানি ভেতরে প্রবেশ করেতে দেখা গেছে। মুহুমুর্হু বৃষ্টি, মৃদু বা চাপা পূবর্ হাওয়ায় পাউবোর জরাজীণর্ বেড়িবঁাধ ছাপিয়ে ও ভেঙে যেকোনো মুহূতের্ প্রাবিত হতে পারে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীণর্ এলাকা। গনের কারণে নদীতে জোয়ারে তীব্র স্রোতের তালে তালে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীর পানি রক্ষা বঁাধের ঝুঁকিপূণর্ সীমা অতিক্রম করে পাউবোর বেড়িবঁাধ কানায় কানায় হচ্ছে, সঙ্গে প্রচÐ ঢেউ অঁাচড়িয়ে মাটি ধুয়ে বঁাধে ভয়াবহ ভাঙন ও ফঁাটল দেখা দিয়েছে। এমনিভাবে নদীর পরিবেশ যদি স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলে তবে ভয়াবহ ফাটল ও ভাঙনগ্রস্ত ঝুঁকিপূণর্ বেড়িবঁাধ যেকোনো মুহূতের্ ভেঙে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীণর্ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আনুলিয়া প্রতাপনগরের শ্রীউলা আশাশুনি ইউনিয়নের কাকবাসিয়া, বিছট, মনিরামপুর, ভোলানাথপুর, গরালি বাজারের বেড়িবঁাধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূণর্। এর মধ্যে কাকবাসিয়া ও বিছটের বঁাধের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। যেকোনো মুহূতের্ বঁাধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে এলাকাবাসী। গত ঈদুল আজহার আগের দিন বিছট মোড়ল বাড়ি এলাকায় বেড়িবঁাধ ভেঙে প্লাবিত হয়। গৃহহারা হয়ে পড়ে শতাধিক পরিবার। পাশের বঁাধের ওপর আশ্রয় নেয়া অসহায় করুণ দৃশ্য ওই সময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন পরিদশর্ন করে প্রতাপনগরের শ্রীপুর, কুঁড়িকাহনিয়া, চুইবাড়িয়া, কোলা, হিজলিয়া, রুইয়ারবিল, হরিশখালী, নাকনা, হাজরাখালী, চাকলা বেড়িবঁাধ চরমভাবে পূবর্ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ও চরম ঝঁুকিপূণর্ যেকোনো জোয়ারে ও ঝড়ো হাওয়ায় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী সচেতন মহলের বক্তব্য, পানি উন্নয়ন বোডের্র সঙ্গে কথা বলেও কোনো কাজের কাজ তো হয়ই না বরং বেশি করে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রকল্প পাস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন। বিপদের মুহ‚তের্ পাউবোর কতার্ব্যক্তিরা বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই, উপরে লিখেছি; টাকা আসলে কাজ হবে’ আবোল-তাবোল বলে কাটিয়ে দেন। এমনকি বিভিন্নভাবে তাদের অবহিত করলেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বা বঁাধ পরিদশর্নও করেন বা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন না। বষার্ মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার এসব বঁাধগুলো মেরামতবিহীন যদি এ অবস্থা চলতে থাকে, তা হলে ভরা বষার্ মৌসুমে ঝঁুকিপূণর্ বঁাধগুলোর অবস্থা কি হতে পারে সেটা আজ এলাকার সচেতন মহলে প্রশ্নবিদ্ধ! অতি দ্রæত ঝুঁকিপূণর্ উপজেলার সব পাউবোর বেঁড়িবাঁধগুলো মেরামতসহ স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের ঊধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের আশু হস্তক্ষেপ করেছে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা।