নানা গুণে ভরপুর আকন্দ ফুল

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

মো. মামুন তানভীর দশমিনা
দেশের পরিচিত গাছ আকন্দ Ñযাযাদি
উপক‚লীয় পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা তথা দেশের একটি পরিচিত গাছ হচ্ছে আকন্দ। এটি একটি মাঝারি ধরনের ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ। ৮-৭ ফুট পযর্ন্ত লম্বা হয় গাছটি। গাছের ছাল ধূসর, কাÐ শক্ত ও কঁচি ডাল লোমযুক্ত। আকন্দ গাছের পাতা ৪-৮ ইঞ্চি লম্বা, উপরিভাগ মসৃণ এবং নিচের দিক তুলার মতো। গাছের পাতা ও শাখা ভাঙলে দুধের মতো সাদা আঠা বের হতে দেখা যায়। সাদা বা বেগুনি বণের্র ফুল হতে দেখা যায়। পটুয়াখালীর জেলার দশমিনা উপজেলার তেতুঁলিয়ার বøক সাইডে দঁাড়িয়ে দেখা যায়, নদী ও উপক‚লের দৌন্দযর্। এটা উপজেলার একমাত্র ভ্রমণ স্পট। এই ভ্রমণ স্পটে গেলে দেখা মিলবে সারি সারি আকন্দ গাছের। ভ্রমণপিয়াসু মানুষের আকষর্ণ আরও বাড়িয়ে দিতে আকন্দ গাছের জুড়ি নেই। আকন্দ গাছের পাতার বিভিন্ন গুণাগুণ বা উপকারিতা রয়েছে। যেমন- পেটের পীড়া : পেট জ্বালায় আকন্দ পাতায় সরিষার তেল মাখিয়ে পাতাটি অল্প গরম করে পেটের ওপর রাখলে পেট জ্বালা বন্ধ হয়। এসিডিটি: ০.৬৫ গ্রাম পরিমাণ আকন্দ পাতা পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়। ফোলা রোগ : আকন্দ ফোলা রোগে বিশেষ উপকারী। বিশেষ কোনো কারণে কোনো স্থান ফুলে উঠলে আকন্দ পাতা বেঁধে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। শ্বাসকষ্ট : আকন্দের শিকড়ের ছাল প্রথমে গুঁড়া করে আকন্দের আঠায় ভিজিয়ে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর চুরট বানিয়ে ধূমপান করলে শ্বাসকষ্ট ভালো হয়। নিউমোনিয়া : আকন্দ পাতার সোজা দিকে ঘি মেখে ব্যথার জায়গায় বসিয়ে লবণের পুঁটলি দিয়ে ছেকা দিলে উপকার পাওয়া যায়। হজম শক্তি : দুই গ্রাম পরিমাণ শুকনো আকন্দমূল গুঁড়া করে খেলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। দঁাতের ব্যথা ও গভর্পা : আকন্দের কষ তুলায় ভিজিয়ে লাগালে দঁাত ব্যথা দূর করে এবং যৌনিতে ধারণ করলে গভর্পাত ঘটায়। খোস-পঁাচড়া বা অ্যাকজিমা : আকন্দের আঠার সঙ্গে চারগুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে গরম তেলের সঙ্গে কঁাচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস-পঁাচড়ায় মাখলে ভালো হয়ে যায়। পা মুচকানো : প্রচÐ ব্যথায় এই আকন্দ পাতা দিয়ে গরম ছেকা দিলে ব্যথা উপশম হয়। ব্রণ : আকন্দ পাতা ওষুধ হিসেবে ব্রণ ফাটাতে সাহায্য করে। আকন্দ পাতা দিয়ে ব্রণ চেপে বেঁধে রাখলে ব্রণ ফেটে যায়। চুলের রোগ : আকন্দ চুলের রোগ, ব্যথা এবং বিষনাশে বিশেষ কাযর্করী। স্থানীয়রা এই গাছগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বনি আমিন খান বলেন, আকন্দ গাছের ব্যাপক গুণাগুণ রয়েছে। এই গাছ রক্ষায় আমরা জনসাধারণকে সচেতনমূলক পামশর্ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি আকন্দ গাছ উপক‚লের সৌন্দযর্ বৃদ্ধি করে থাকে।