করতোয়ায় ভাঙন, হুমকিতে পঁাচ হাজার পরিবার

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

হাফিজুর রহমান মিলন, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর
দিনাজপুরের করতোয়ায় নদী ভাঙন Ñযাযাদি
ধীরগতিতে করতোয়া নদীভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কৃষি ফসলি জমি এবং হুমকির মুখে পড়েছে ৫ হাজার পরিবার। নদীর গতি পরিবতর্ন করতে পারলে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেন জানান। ভাঙনের কবলে গ্রামগুলো হলো, উপজেলার বিনোদনগর ইউপির করতোয়া নদীঘেষা ভোটারপাড়া, কঁাচদহ, উ. কঁাচদহ, উ. মাঝিপাড়া ও দ. মাঝিপাড়া। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, করতোয়া নদীর প্রবাহ ছিল তাদের গ্রামের প্রায় ১ কিমি পূবর্ দিক দিয়ে। সেই প্রবাহ ভাঙতে ভাঙতে এখন কয়েক বছরে গ্রাম পযর্ন্ত ভাঙা শুরু হয়েছে। এতে করে অনেকের বাড়ি-ঘরসহ জায়গা-জমি হারিয়ে সবর্স্বান্ত হয়েছে। আবার নদীভাঙনে বাড়ি-ঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে ভোটারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মুনছুর আলী, ইয়াকুব আলীসহ প্রায় ৫০ জন পরিবারকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হুমকির মুখে রয়েছে ওই গ্রামের আজিজুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার। এ ছাড়া ভাঙনের কবলে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ অনেক সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। বিনোদনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সানাউল হক জানান, উত্তর থেকে ঘৃনাই ও যমুনাশ্বরী নদী এসে ভোটারপাড়া এলাকায় করতোয়ায় মিলিত হয়ে পানির তীব্র স্রোতে এসব ভাঙন হয়ে থাকে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান- প্রতিবছর নদী যেভাবে গ্রাস করছে তাতে শুধু ওই গ্রামগুলোই নয়, নদীর গতি পরিবতর্ন করতে না পারলে সদ্য নিমির্ত ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুও ভবিষ্যতে হুমকির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, নদী পূবের্ যেদিক দিয়ে প্রবাহিত ছিল সেদিকে প্রবাহের ব্যবস্থা করা হলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রায় ৫ কিমি নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা পানি উন্নয়ন বোডের্ আবেদনও করেছিলেন। সম্প্রতি নবাবগঞ্জ উপজেলা দুযোর্গব্যবস্থাপনা কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ও বিস্তুর আলোচনা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ২০১৮ ক্ষতিগ্রস্ত ও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদশর্ন করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী, নিবার্হী অফিসার মো. মশিউর রহমান, কৃষি কমর্কতার্ আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমর্কতার্ মো. রেফাউল আজম, প্রকৌশলী মো. আ. কুদ্দুস, বন কমর্কতার্ নিশিকান্ত মালাকার, বরেন্দ্র উপ-সহকারী মোকছেদ আলী প্রমুখ। এ ছাড়া নদীভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদশর্ন করেছিলেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক।