তিতাসে নারীদের আগ্রহ বাড়ছে থাই হস্তশিল্পে

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

তোফাজ্জল হোসেন শাকিল, তিতাস (কুমিল্লা)
কুমিল্লার তিতাসে নারীদের তৈরি থাই হস্তশিল্প Ñযাযাদি
কুমিল্লার তিতাসে থাই হস্তশিল্পে ঝুঁকছে বিধবাসহ অসহায় নারীরা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অবসর সময়কে কাজে লাগাচ্ছে তারা। থাই হস্ত শিল্পের পাশাপাশি অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আয়ের বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন সেলাই, বøক বাটিক, মাশরুম চাষ। উপজেলা মহিলা বিষয়ক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অথর্ বছরে ওই দপ্তর থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৩০০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর বাইরে প্রায় ২০০ জন নারীকে পরামশের্র আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণের শেষে বিশেষ করে সেলাই প্রশিক্ষণের শেষে অসহায় অসচ্ছল নারীদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। অন্যান্য প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে অফেরতযোগ্য অনুদানও প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন নিমার্ণ সামগ্রী যেমন- বঁাশ ও বেত শিল্পের সামগ্রী, গ্রামীণ হস্ত শিল্পের সামগ্রী, থাই হস্ত শিল্পের সামগ্রী, শীতল পাটির্ ও নকশি কঁাথাসহ অনেক পণ্য আগামী উপজেলা উন্নয়ন মেলাকে কেন্দ্র করে মহিলা বিষয়ক অফিসে জমা রাখা হচ্ছে। যা মেলাতে বিক্রি করার কথা রয়েছে। থাই হস্ত শিল্পে প্রশিক্ষণ নেয়া আমেনা আক্তার বলেন, আগে তারা যে বঁাশ ও বেতের হস্ত শিল্প তৈরি করতেন তার চাহিদা অনেকটা কমে এসেছে। তবে থাই হস্তশিল্পে চাহিদা থাকায় তারাও এতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বøক বাটিক প্রশিক্ষণ নেয়া ফরিদা বেগম জানান, তিনি বøক বাটিক কাজ শেখার পর নিজ উদ্যোগে বাড়িতে এ কাজ করে যাচ্ছেন। আশপাশের লোকজনও এ কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন। মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সানজিদা আক্তার জানান, মহিলা বিষয়ক আপা প্রতিটি প্রশিক্ষণের পর যাতে ওই কাজটিকে ধরে রাখতে পারা যায় সেক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে যান। সময় পেলে কিছু একটা করার তাগিদ দেন। ইতোমধ্যে উপজেলায় মাশরুম চাষের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কমর্কতার্ শারমিন আরা জানান, গত অথর্বছরে প্রায় ৩০০ জন নারী প্রশিক্ষণ ছাড়াও প্রায় ২০০ জনকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামশর্ দেয়া হয়েছে। সকলকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাজটি ধরে রেখে কিছু আয় রোজগারের মাধ্যম খেঁাজার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। অনেকে আবার তাদের কাজের দৃষ্টান্তও স্থাপন করে চলেছেন। তিনি আশা করেন আগামী উন্নয়ন মেলায় তাদের স্টলে তিতাসের নারীদের কমের্র মূল প্রতিচ্ছবিটা প্রকাশিত হবে।