বঙ্গবন্ধু সাফারি পাকের্ জিরাফের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পাকের্ কমনইলান্দের আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুতর আহত জিরাফটি দুই দিন পরে মারা গেছে। ১১ জুলাই আক্রমণে শিকার জিরাফটি একদিন পরেই মারা যায়। তবে এ ঘটনাটি প্রকাশ পায় পরে। মারা যাওয়া জিরাফটি ছিল মাদি। এ পাকের্র সবচেয়ে বড় জিরাফটি প্রথমবার একটি শাবকের জন্মও দিয়েছিল । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকের্র এক কমর্কতার্ জানান, পাকের্র আফ্রিকান সাফারিতে জিরাফ, জেব্রা, অরিক্স, বেøজবার, গ্যাজেল, বেøজবাগ ও কমনইলান্দ একত্রে বসবাস করে। গত ১১ জুলাই কোনো একসময় কমনইলান্দ আক্রমণ করে জিরাফটিকে। এ সময় কমনইলান্দের ধারালো শিংয়ের আঘাতে জিরাফের পেটের নিচে ডানপাশে শিং ঢুকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। পরে বিষয়টি কতৃর্পক্ষের নজরে এলে ১২ জুলাই জিরাফকে সাজাির্রর জন্য চেতনানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে জিরাফটি ওই দিনই মারা যায়। এর আগেও বেশ কিছু প্রাণীকে কমনইলান্দ আক্রমণ করে গুরুতর জখম করে। ইতোপূবের্ জিরাফ শাবককে গুরুতর আহত করলে চিকিৎসার পর তা ভালো হয়। এবার জিরাফকে বঁাচানো গেল না। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও চিকিৎসা বোডের্র সদস্য প্রফেসর ডা. মো. রফিকুল আলম এবং শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ আবদুল জলিল সাংবাদিকদের জানান, অনেক বড় প্রাণীকে অজ্ঞান করা বেশ কঠিন কাজ। জিরাফটিকে বনের ভিতরে রেখে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করতেই অনেক সময় লেগে গেছে। এর মধ্যে অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। অজ্ঞান করে সাজারির্ করার পর আর জ্ঞান ফিরেনি জিরাফের। তিনি বলেন এখনই জরুরিভিত্তিতে কমনইলান্দগুলো আলাদা বেষ্টনীতে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। তা না হলে এর আক্রমণে আরও অনেক প্রাণীই প্রাণ হারাবে। ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ মো. মোতালেব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কমনইলান্দের গুঁতোয় নাকি অন্য প্রাণীর গুঁতোয় প্রাণীটি মারা গেছে তা নিধার্রণ করা সম্ভব হয়নি।