নান্দাইলে স্কুল ছাত্রী রোবিনার চোখের আলো নিভে গেল

সানজিদা আক্তার রোবিনা (১৪) ছিল ক্লাসের মেধাবী ছাত্রী। সে মুশুলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থী। মা-বাবার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে মেয়ে দেশের জন্য কাজ করবে। একটি দুর্ঘটনায় সেই স্বপ্ন ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। স্কুলের শিক্ষক ও মা-বাবার প্রিয় রোবিনা এখন হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণাদায়ক সময় পার করছে। তার দুই চোখের আলো নিভে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাত-পা। গত ২৯ আগস্ট স্কুলে যাওয়ার পথে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জগামী এমকে সুপারের একটি বাসের ধাক্কায় তার এই করুণ পরিণতি। জানা গেছে, রোবিনার বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ধরগাঁও গ্রামে। সে ওই গ্রামের রুবেল মিয়ার কন্যা। রুবেল একজন দিনমজুর। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। হঠাৎ মেয়ের এই করুণ অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। রোববার দুপুরে মোবাইলফোনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানরত রোবিনার বাবা রুবেল মিয়াকে মেয়ের শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করতেই ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি দরিদ্র হলেও সংসারে সুখ ছিল। মেয়েকে নিয়ে বুকভরা স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। রুবেল মিয়া জানান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন রোবিনার চোখের অপটিমাল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে চোখের আলো আর ফিরবে না। তার ডান হাত ও বাম পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। দুইটা অপারেশন হয়েছে। বর্তমানে বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি বিভাগে রেফার করা হয়েছে।