সোনাগাজীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম

প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

সোনাগাজী সংবাদদাতা
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের উত্তর চর সাহাভিকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কক্ষের ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তার পরও কক্ষ সংকট ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ভবনের তিনটি কক্ষ পাঠদানের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। কোমলমতি শিশুরা যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে আশঙ্কা অভিভাবকদের। ১৯৩০ সালে উত্তর চর সাহাভিকারী গ্রামের স্থানীয় কয়েকজন লোকের দান করা ৩৩ শতক জমির উপর টিন আর বেড়া দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করে বিদ্যালয়টি চালু করা হয়। পরে ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল পাকা ভবন নির্মিত হয়। ভবনটির নিচ তলা খোলা। দোতলায় চলে পাঠদান। কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়। দোতলায় উঠার সিঁডির হাতলগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। শ্রেণি কক্ষগুলোতেও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ২০০৫ সালে পুরাতন ভবনের পাশে নতুন একটি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। ওই ভবনটিতে শুধু মাত্র প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম আর শিক্ষকদের অফিস ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। কিন্তু কক্ষ সংকটের কারনে পুরাতন ভবনের তিনটি কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে দুই পালায় শ্রেণি কার্যক্রম হওয়ায় পাঠদানে সংকট তৈরি হয়েছে। এ জন্যে সকালে তিনটি কক্ষে প্রথম-দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বসে পাঠদান করে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছুটির পর ওই দু'টি কক্ষে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান শুরু হয়। তবে পরীক্ষার সময় সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করে। ভবনটির চারটি কক্ষের ছাদের পলেস্তার বা আস্তর খসে পড়ছে। দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ভবনের দরজা-জানালা। শিক্ষার্থীরা জানান বৃষ্টি হলে ছাদ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ে এবং জানালা নষ্ট থাকায় পানি ডুকে তাদের বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। ভবন না থাকায় তাঁরা ঠিক ভাবে লেখা-পড়া করতে পারছেনা। এতে তাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। হাতল না থাকায় সিঁডি দিয়ে বিদ্যালয়ের দোতলায় উঠতে তাদের মধ্যে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ইতোমধ্যে পলেস্তারা খসে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে ঝুঁকিপূর্ন আবস্থায় রয়েছে। অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা ফাটল দেখলে ভয় পেয়ে স্কুলে আসবে না এই আশঙ্কায় ফাটলগুলো রং করে ও কাগজ দিয়ে ডেকে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হিটলারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে কক্ষ সংকট ও ভবনের দুরবস্থা দেখে নতুন একটি ভবন বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে।