আবাসন সুবিধাবঞ্চিত ৭৬ শতাংশ রাবি শিক্ষাথীর্

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

আসিফ হাসান রাজু, রাবি
প্রতি বছর পার হচ্ছে বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্র সংখ্যা। তবে সেই তুলনায় বাড়ছে না আবাসিক সুবিধা। যে আশ্বাস নিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর এই বিদ্যাপীঠের যাত্রা শুরু হয়েিেছল তারমধ্যে অন্যতম আশ্বাস ছিল শতভাগ আবাসন সুবিধা প্রদানের কথা। কিস্তু প্রতিষ্ঠার ৬৬ বছরে সেই আশ্বাসকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃর্পক্ষ। তবে আসাবন ব্যবস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রস্তাবিত নতুন দুইটি আবাসিক হল নিমাের্ণর নকশা ইতোমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে এবং পুরাতন হল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এম এ বারী। খেঁাজ নিয়ে জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষাথীের্দর ৭৬ শতাংশ শিক্ষাথীর্ আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বতর্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাথীর্র সংখ্যা প্রায় ৩৭,২৪৮। তার মধ্যে এমফিল ১০৬, পিএইচডি ৪৩, গবেষক ১৪৯ জন। এর বিপরীতে শিক্ষাথীের্দর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ৮৭৯৯ জন শিক্ষাথীর্র। হিসাব অনুযায়ী মোট শিক্ষাথীর্র মাত্র ২৪ শতাংশ আবাসন সুবিধা পেয়ে থাকেন। বাকি ৭৬ শতাংশ এখনো আবাসন সুবিধার বাইরে। অপরদিকে ছাত্রীদের আবাসন সুবিধার জন্য ৬টি আবাসিক হল রয়েছে। এরমধ্যে মন্নুজান হলে শিক্ষাথীর্র ধারণক্ষমতা ৮৬০, রোকেয়ায় ৭২০, তাপসী রাবেয়ায় ৪৬৯, বেগম খালেদা জিয়ায় ৪৫২, রহমতুন্নেসায় ৫৮০, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছায় ৫২৮। ছাত্রীদের হলে ধারণক্ষমতা ৩৬০৯ জন শিক্ষাথীর্র। এ ছাড়া গবেষক শিক্ষাথীর্র জন্য শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরিতে ধারণক্ষমতা ২৬ জন। আবাসিক শিক্ষাথীের্দর সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শতের্ একাধিক শিক্ষাথীর্ জানান, একটি আবাসিক হলে শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের হলে রিডিং রুমের ব্যবস্থা আছে কিন্তু সেই রিডিং রুমগুলো কাযর্কর নয়। নামে মাত্র ওয়াইফাই ব্যবস্থা, খাবারের মান উন্নত নয়। এ ছাড়া মেয়েদের প্রত্যেকটি হলেই বৃহৎ গণরুম রয়েছে। গণরুমগুলোয় প্রায় ২০০ জন শিক্ষাথীের্ক ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হয়। অধিকাংশের ক্ষেত্রে পযার্প্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। আবার হল সংস্কারের ব্যাপারে কতৃর্পক্ষকে জানালেও আশানুরূপ তেমন কোনো কাজ হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। সাবির্ক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী বলেন, ‘আবাসন ব্যবস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত দুইটি হলÑ যার একটি ছাত্রীদের জন্য বতর্মান প্রধানমন্ত্রী নামে ১০তলা বিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা হল’। আর অন্যটি ছাত্রদের জন্য ৬তলা বিশিষ্ট ‘এ এইচ এম কামরুজ্জামান’ হলের নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ ছাড়া পুরাতন হলগুলো সম্প্রসারণ করা হবে। সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে। চলমান এ কাজগুলো সম্পন্ন হলে আবাসিক সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে’।