সংস্কারের অভাবে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুকুরগুলোতে মাছচাষ ব্যাহত

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

আখতার হোসেন খান, ভ‚ঞাপুর
ভ‚ঞাপুর বঙ্গবন্ধু সেতুর পুকুরগুলো সংস্কার না করায় এভাবে শুকিয়ে রয়েছে। ছবিটি সিরাজকান্দি এলাকা থেকে তোলা Ñযাযাদি
ভ‚ঞাপুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পুকুরগুলো পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় দেখা দিয়েছে মৎস্য সংকট। এতে বেকার হয়ে পড়ছে মৎস্য চাষিরা। মৎস্য ঘাটতি পূরণের জন্য বঙ্গবন্ধুর সেতুর নিমাণর্কালে সেতুর পূবর্ ও পশ্চিম পাশ্বের্র শতাধিক পুকুর তৈরি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ সেতু কতৃর্পক্ষ (বিবিএ) কমর্কতাের্দর উদাসীনতার কারণে দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুরগুলো, দেখা দিয়েছে মৎস্য সংকট, বেকার হচ্ছে মৎস্য চাষিরা। সেতুর পূবর্ পাড়ে বালুখেকোরা পুকুরে মাটি ফেলে রাস্তা তৈরি করে অবৈধ বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ আছে বালু ব্যবসায়ীরা বিবিএ কমর্কতাের্দর ম্যানেজ করে এসব পুকুর ভরাট করছে। জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প) কারণে ধলেশ্বরী নদীর উৎসমুখ বন্ধ হওয়ার কারণে টাঙ্গাইল, জামালপুর, মানিকগঞ্জ জেলা ও ঢাকার দক্ষিণ অঞ্চলের অন্তত ১২টি উপজেলার এবং টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল, মিজার্পুর, নাগরপুর উপজেলাগুলো মরুভ‚মির সৃষ্টি হবে তেমনি পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়বে, এতে জীববৈচিত্র্যের পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ ব্যাপকভাবে ক্ষতি সাধিত হবে। মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের সম্মুখীন হবে সেতু তৈরির সময় ঋণদানকারী সংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, জাপান ও দাতাদেশগুলো সরজমিনে তদন্ত করে ওই জেলাগুলোয় পরিবেশ ও ভারসাম্য রক্ষা এবং এ অঞ্চলে প্রতিবছর কম করে হলেও ১ হাজার ৫শ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন ঘাটতি পরার কারণ উপলব্ধি করে। এই ঘাটতি ও ক্ষতি মিটাতে দাতা দেশগুলো বিকল্প পন্থায় ওই পরিমাণ মাছ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েই একটি প্রকল্প তৈরির পরামশর্ দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কমর্কতার্ জ্যোতি কনা দাস বলেন, উপজেলাটি নি¤œ অঞ্চল হওয়ার কারণে বন্যায় পুকুর, খাল ও জলাশয়গুলো প্লাবিত হয়ে যায়। সরকারি জলমহালের জন্য নীতিমালা না থাকায় এই উপজেলায় কোনো মৎস্য অভয়াশ্রম নেই। যার কারণে মাছের বংশবিস্তার হচ্ছে না। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুর পুকুরগুলো সংস্কার না করায় সেখানে মৎস্য চাষ করা যাচ্ছে না। এতে করে যেমন মৎস্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে সেই সঙ্গে বেকার হয়ে যাচ্ছে মৎস্যজীবীরা।