ঝুঁকপিূর্ণ সাঁকাে দিয়েই শিক্ষাথীর্ পারাপার

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮, ১১:০৩

মুজাহিদুল ইসলাম সদার্র (দিরাই) সুনামগঞ্জ

চারদিকে পানি, হাওরের উত্তাল ঢেউ, ছোট দ্বীপের মতো একেকটি গ্রাম। গ্রামের চারদিকে পানি থাকায় ঘর থেকে বের হওয়ার একমাত্র অবলম্বন নৌকা। দরিদ্র পরিবারগুলোর নিজেদের নৌকা না থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পরনিভর্রশীল হয়ে চলতে হয়। ভোগান্তি যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। হাওরের উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে বাড়িঘর রক্ষার সংগ্রাম করেই চলতে হয় হাওরবাসীদের। আকাশে মেঘ দেখলেই ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে কাটে ছয়টি মাস। ‘বষার্য় নাও, হেমন্তে পাও’ এ নিয়মেই চলতে হয় ভাটি অঞ্চলের মানুষের। সরেজমিন দেখা যায়, গরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষাথীর্রা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি বঁাশের তৈরি  সাঁকাে দিয়ে যাতায়াত করছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ঝুঁকপিূর্ণ সাঁকাে দিয়ে চলাচল করার জন্য ছোট শিশুদের স্কুলে পাঠানো সম্ভব হয় না, তারা দিনমজুর, যেদিন কাজের ফঁাকে সুযোগ পান সেদিন তারা নিজে গিয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে দিয়ে আসেন। রাস্তা তৈরি করে দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের অনেকবার বলেছেন তারা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল নাহার বলেন, তারা একাধিকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তার আবেদন করেছেন। কোনো কাজ হচ্ছে না। ঝুঁকপিূর্ণ সাঁকাে কারণেই বিদ্যালয়ে শিক্ষাথীের্দর উপস্থিতি কম। জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমদ বেগ বলেন, বিদ্যালয়ের রাস্তা নিমাের্ণর জন্য আবেদন করা হয়েছে। রাস্তা তৈরি করার জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, গরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা না থাকার বিষয়টি তারা অবগত আছেন। এমপির সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই রাস্তার ব্যবস্থা করবেন।