দুই গৃহবধূকে হত্যাসহ চার জেলায় চারজনের মৃতু্য
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
দুই গৃহবধূকে হত্যাসহ বিভিন্ন ঘটনায় চার জেলায় চারজনের অপমৃতু্য হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার মৃতু্য, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দুই সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃতু্য এবং শ্বাসরোধে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক গৃহবধূকে ও নরসিংদীর ঘোড়াশালে প্রবাসী স্ত্রীকে হত্যা করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের ট্রেনে কাটা পড়ে একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী বৃদ্ধার মৃতু্য হয়েছে। সোমবার ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা ভাটিয়াপাড়া এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় সদর উপজেলার অম্বিকাপুর এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের ধাক্কায় আহমদ শেখ (৮০) নামে এক বৃদ্ধ ঘটনস্থলে মারা যান। নিহত আহমদ শেখ অম্বিকাপুর এলাকায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আহমদ শেখ সকালে অম্বিকাপুর রেললাইনের পাশে যান। রেললাইন পার হওয়ার সময় ভাঙ্গা হতে ছেড়ে আসা চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃতু্য হয়।
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি জানান, বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দুই সন্তানের জননী গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্যর ঘটনায় হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। থানায় মামলার পরে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বাগধা গ্রামের মুজিবুর হাওলাদারের মেয়ে ও বাকাল ইউনিয়নের যবসেন গ্রামের ড্রাইভার জাফর পাইকের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী ফাতেমা বেগমের (২৫) রহস্যজনক মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। ফাতেমার মৃতদেহ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন গত রোববার প্রথমে পয়সারহাট উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে সেখানকার চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফাতেমার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে যান তার স্বজনেরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের কর্মরত চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফাতেমার শ্বশুর পরিবারের দাবি নিজের ঘরেই তার স্বাভাবিক মৃতু্য হয়েছে।
খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলম হাসপাতাল থেকে ফাতেমার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় ফাতেমার বাবা মজিবুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় অপমৃতু্য মামলা করেছেন।
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সানজিদা আক্তার (১৭) নামের এক গৃহবধূর মৃতু্যর ঘটনায় স্বামী আলামিন আকন্দের (৩৫) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে গত রোববার রাতে গৃহবধূর মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা করেন। রোববার দুপুরে পৌর শহরের সাধুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সানজিদা ওই এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে। অভিযুক্ত আলামিন আকন্দ পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার আওয়াল আকন্দের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে গত শনিবার রাত হতে রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো এক সময় আলামিন আকন্দ কৌশলে তার স্ত্রী সানজিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া স্বামীকে স্ত্রীর দাফনের আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় স্ত্রী সুমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান স্বামী রুপন আহমেদ রুপা। পুলিশ খবর পেয়ে রোববার বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এরপর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। সোমবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় স্ত্রীর দাফনের আগেই অভিযুক্ত স্বামীকে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার রুপা ঘোড়াশাল পৌর এলাকার মিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত সুমি আক্তার (২২) একই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে। সুমির সঙ্গে স্বামীর রুপনের টাকা পয়সা নিয়ে বিভিন্ন সময় ঝগড়া লেগে থাকত। শনিবার রাতে কোনো এক সময় ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেন স্বামী রুপা। পরে সকালে তার চার বছরের এক ছেলে সন্তানকে নিহত সুমির বোনের কাছে রেখে পালিয়ে যান রুপন আহমেদ রুপা।