রংপুরে চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবের বদৌলতে অবশেষে রংপুর চিড়িয়াখানা ও বিনোদন উদ্যানে কয়েকটি নতুন অতিথি এসেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রাণিগুলো রংপুরে এসে পৌঁছায়। কিউরেটর ডা. মো. জসিম উদ্দিন বিষয়টি নতুন অতিথি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাঘসহ অন্যান্য উলেস্নখযোগ্য প্রাণী আসার কথা থাকলেও তা আসেনি। এনিয়ে অনেকের মধ্যে অন্তোষ রয়েছে। চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে নতুন অতিথি নিয়ে আসা হয়। নতুন অতিথি প্রাণিগুলো রংপুর চিড়িয়াখানার সেডে সোভা পাচ্ছে। প্রাণিগুলোর মধ্যে রয়েছে, তিন জোড়া ইমু, এক জোড়া করে উট পাখি ও গাধা এবং একটি স্ত্রী ঘোড়া। তবে চাহিদার মধ্যে ছিল পুরুষ বাঘ, ইমু পাখি, উট পাখি, স্ত্রী গাধা, উলস্নুখ ও কালেম পাখি। এর মধ্যে আসেনি পুরুষ বাঘ, উলস্নুখ ও কালেম পাখি। চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, আয়ুষ্কাল শেষ এমন বাঘ দিতে চেয়েছিল ঢাকা চিড়িয়াখানা।। রংপুরে নিয়ে আসার পথে প্রাণনাশের আশঙ্কায় তা নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুর চিড়িয়াখানার কয়েকজন কর্মকতা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় প্রাণী ও জোড়া সংকট রয়েছে। জোড়া সংকটের উলেস্নখযোগ্য প্রাণির মধ্যে বাঘ ও জলহস্তি রয়েছে। খাঁচা শূন্য রয়েছে জিরাফ, জেব্রা ও চিতাবাঘ। রংপুর চিড়িয়াখানা ও বিনোদন উদ্যানের কিউরেটর ডা. মো. জসিম উদ্দিন যায়যায়দিনকে জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিবের বদৌলতে নতুন প্রাণিগুলো রংপুরে আনা সম্ভব হলো। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ ফেব্রম্নয়ারি রংপুর চিড়িয়াখানা ও বিনোদন উদ্যানে পরিদর্শনে আসেন প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছুল আলম মন্ডল। তিনি চিড়িয়াখানার প্রাণি ও জোড়া সংকটে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এর দুইদিন পর ১১ ফেব্রম্নয়ারি চিড়িয়াখানার কিউরেটর কয়েকটি প্রাণির তালিকা করে চাহিদাপত্র পাঠান প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে। প্রাণি চাহিদাপত্রের মধ্যে রয়েছে, পুরুষ বাঘ, ইমু পাখি, উট পাখি, স্ত্রী গাধা, উলস্নুখ ও কালেম পাখি। এর আগেও রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে চাহিদানুয়ায়ী প্রাণি গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক অধিদপ্তরকে অবগতি করা হয়েছে মর্মে ২৬ ফেব্রম্নয়ারি প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা, হীরেশ রঞ্জন স্বাক্ষরিত ঢাকা চিড়িয়াখানা একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিটি আবার ঢাকা চিড়িয়াখানা হতে রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর বরাবর পাঠানো হয়। চিঠিটি রংপুরে আসে ৩ মার্চ।