মহান বিজয় ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে রোববার বিইউবিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমোডর (অব.) এ ডবিস্নউ চৌধুরী, বীর উত্তম, বীর বিক্রম। তিনি বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অপারেশন জ্যাকপটে তার দুঃসাহসী ভূমিকার কথা বর্ণনা করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে অপারেশন জ্যাকপটের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সম্মানিত অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সামশুল হুদা, এফসিএ তার বক্তব্যে স্বাধীনতা অর্জনের মর্ম সবাইকে বোঝারও উপলব্ধি করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অতিথি বিইউবিটি ট্রাস্টের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আবু সালেহ তার বক্তব্যে ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পালাবদলের ইতিহাস, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের চিত্র বর্ণনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সদস্য অধ্যাপক মিঞা লুৎফার রহমান। মুখ্য আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আলী নূর তার বক্তব্যে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পটভূমি বর্ণনা করেন। সভায় স্বাগত বক্তা অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ারুল হক, ডিন, কলা ও মানবিক অনুষদ এবং আহ্বায়ক, মহান বিজয় ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০২৩ তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের নয় মাসের যুদ্ধে বাঙালিদের দুঃসাহসী অবদান ও আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরেন। সভার সভাপতি বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. ফৈয়াজ খান তার সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ বীরাঙ্গনা মা-বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব সূচক অবদান রাখায় বিইউবিটি প্রধান অতিথিকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। বিইউবিটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ম সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
