ইউসেপ ঢাকা উত্তর অঞ্চলে স্মার্ট জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইউসেপ বাংলাদেশের ঢাকা উত্তর অঞ্চল গত ২৮ ডিসেম্বর স্মার্ট জব ফেয়ার ২০২৩ আয়োজন করে। মেলায় সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মুখ্য সচিব ডক্টর মো. আবদুল করিম। জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিডিজব্‌সডটকম'র সিইও এ. কে. এম. ফাহিম মাসরুর ও বিকেএমই'র এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম ও ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নসের প্রাক্তন চেয়ারপারসন ও পপুলেশন কাউন্সিলের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ডক্টর উবায়দুর রব। ইউসেপ বাংলাদেশে সরকারি অর্থে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর পরিচালক, ইউসেপ বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিয়োগকর্তা এবং সংবাদকর্মীসহ শত শত চাকরিপ্রত্যাশী যুবারা উপস্থিত ছিলেন। স্মার্ট জব ফেয়ার ২০২৩ এ বিডিজবস্‌ডটকম, সিঙ্গার বাংলাদেশ লি., নাভানা গ্রম্নপ, পার্টেক্স গ্রম্নপ, হোন্ডা বাংলাদেশ, মেটাডর, ইউনিয়ন গ্রম্নপ, গোল্ডেন টিউলিপ, আর এস এন্টারপ্রাইজসহ প্রায় ২০টি স্বনাম খ্যাত প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। স্মার্ট জব ফেয়ার ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা আলোচনায় অংশ নেন। উপস্থিত নিয়োগকর্তারা ওয়াক ইন ইন্টারভিউ'র মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশী যুবাদের মধ্যে শতাধিক যুবার তাৎক্ষণিক নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন 'কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ইউসেপ সমগ্র বাংলাদেশে একটি ব্র্যান্ড। ইউসেপ বাংলাদেশ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য খুবই কাছাকাছি। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কারিগরি শিক্ষার হার ৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউসেপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সুদৃঢ় হবে'। শিক্ষাকে কর্মের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়াসে আয়োজিত স্মার্ট জব ফেয়ার একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে তিনি উলেস্নখ করেন। তিনি আরও বলেন, এখানে দেশের বড় বড় নিয়োগকর্তারা এসেছেন কারিগরি প্রশিক্ষণ নেওয়া যুবাদের সিভি সংগ্রহ করতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী যুবার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন-যেটা খুবই ইনোভেটিভ অ্যাপ্রোচ। এই ফর্মূলা তিনি তার নিজ মন্ত্রণালয়ে প্রয়োগ করবেন বলে ঘোষণা দেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ হাতেম মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম ও ইউসেপের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর মো. আবদুল করিমকে উদ্দেশ্য করে বলেন 'আপনারাই পারেন বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষিত জনশক্তিতে রূপান্তর করতে'। এ. কে. এম. ফাহিম মাসরুর বলেন 'দেশের উচ্চ শিক্ষিতদের একটা বড় অংশ বেকার থাকলেও কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবারা ৮৫-৯০ শতাংশ প্রথম ৬ মাসেই চাকরি পেয়ে যায়'। খালেদ মামুন চৌধুরী বলেন 'চাকরিপ্রত্যাশী ও চাকরিদাতার মধ্যে সংযোগের জন্য স্মার্ট জব ফেয়ার একটি চমৎকার মেলবন্ধন। ইউসেপ একটি ব্র্যান্ড, এই প্রতিষ্ঠান মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা দেয়, ফলে কর্মসংস্থানের হার অনেক বেশি'। ডক্টর উবায়দুর রব বলেন 'এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করা ছেলেমেয়েদের দুই বছর এবং চার বছরের কারিগরি ডিপেস্নামা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এসএসসি ভোকেশনাল কোর্স দেশের সব এমপিওভুক্ত স্কুলগুলোতে চালু করতে হবে-তবেই হয়ত আমরা বেকারত্বের হার কমাতে সক্ষম হব- দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারবো।' অনুষ্ঠানের সভাপতি ডক্টর মো. আবদুল করিম তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আগত সব অতিথি, নিয়োগকর্তা, চাকরিপ্রত্যাশী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যারা জব ফেয়ারে স্টল বরাদ্দ নিয়েছেন এবং বিকেএমই ও আরএস এন্টারপ্রাইজসহ যারা অনুষ্ঠানে স্পন্সর করেছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। ইউসেপ বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে যারা পেছন থেকে দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা করছেন, তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষত তিনি ইউসেপ বোর্ড ও অ্যাসোসিয়েশনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অ্যাসোসিয়েশনের যেসব সদস্য ইন্তেকাল করেছেন তাদের আত্মার প্রতি মাগফিরাত কামনা করেন। এ ছাড়া বক্তারা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গড়ার পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যুবাদের কারিগরি শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ইউসেপ বাংলাদশের কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার মাধ্যমে শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বিকালে একটি বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই পর্বে অন্য শিল্পীদের পাশাপাশি দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী রেঁনেসার নকিব খাঁন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি