বাঁচতে চান মর্জিনা বেগম

শরীর থেকে প্রতিদিন বের হয় ৪ লিটার পানি!

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
লিভার ও কিডনি ডিজিস আক্রান্ত ৪৫ বছর বয়সি মর্জিনা বেগম বাঁচতে চান। তিন ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জননী সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানগড়া ইউনিয়নের বিলচন্ডি গ্রামের দিনমজুর আব্দুল বারিকের স্ত্রী। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসার হতদরিদ্র হওয়ায় মর্জিনা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আট মাস ধরে তিনি এই বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি রোগ মুক্ত হয়ে সুস্থভাবে পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চান। দুই মেয়ের মধ্যে একজনের বিয়ে দিতে পারলেও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে দিশাহারা তার দিনমজুর স্বামী আব্দুল বারিক। লিভার ও কিডনি ডিজিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি কথা বলতে পারছেন না। তার দিনমজুর স্বামী আব্দুল বারিক ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে হাতের তিনটা আঙ্গুল কেটে পড়ে যাওয়ায় সেভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন না। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও একাই পরিবারের যাবতীয় ব্যয় বহনে আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। ভয়াবহ এই রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা খরচ মিলাতে হিমশিম খাচ্ছে অসহায় পরিবারটি। নিরুপায় মর্জিনাকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান শ্রেণি ও সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চান প্রতিবন্ধী স্বামী আব্দুল বারিক। প্রতিবেশী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী কাজল দাস জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে লিভার ও কিডনি ডিজিস রোগে আক্রান্ত তিনি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ইতিমধ্যে দরিদ্র পরিবারের সংসার তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব। স্বামী একাই উপার্জনকারী ব্যক্তি হওয়ায় তার পক্ষে কোনোভাবেই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এই অসহায় পরিবারের সহযোগিতা করার জন্য আমার কাছে এসেছিলেন পরিবারটির সদস্যরা। আমি সমাজের বিত্তবানদের তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। মর্জিনার মেয়ে নাসিমা আক্তার জানান, বাড়ির পাশে ৩ শতক জমি বিক্রি করে প্রথমে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও পরে উন্নত চিকিৎসার অর্থের অভাবে কোনো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়ে বিত্তবান লোকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। ধানগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম বলেন, মর্জিনার বিরল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু সম্ভব পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তাকে বাঁচাতে সমাজের যারা বিত্তবান তাদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানান।