ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসব

দেশি-বিদেশি ১২৭ রকমের ফুলে আকৃষ্ট দর্শনার্থী

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেছেন মন্ত্রী পরিষদের সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার ফিতা কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন, সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন, সীতাকুন্ড প্রেস ক্লাব সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রমুখ। জানা গেছে, সাগরের বেড়িবাঁধ উপকূলের এ স্থানটি এক সময়ে মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে এখন ফুলের রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখন দূর হতে ওই স্থান থেকে মাদকের পরিবর্তে রকমারি (১২৭ রকমের) ফুলের সুগন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের শত শত নর-নারী ও দর্শনার্থীরা এখানে ঘুরতে এসে মুগ্ধ হয়। দর্শনার্থীরা জনপ্রতি ৩০ টাকায় টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। ফৌজদারহাট সাগর উপকূলে উত্তর সলিমপুর মৌজার ১৯৪ একর সরকারি মালিকানাধীন খাস জমি গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে একাধিক চক্র দখল করে মাদক ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। এমন খবর শুনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এক মাসের মধ্যেই সেখানে অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদ করে ফুল উৎসব শুরু করেন। ফুল উৎসবটির আমেজ সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে দ্বিতীয় বারের মতো আগের ছেয়ে ব্যাপক আকারে ফুল উৎসবের আয়োজন করেছেন তিনি। এ লক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত এক বছর ধরে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে এখানে। নতুন নতুন স্থাপনা, শিশুদের রাইড, ওয়াকওয়ে, সানসেট ভিউ পয়েন্ট, কবুতর শেড, কিডস জোন ও বিশেষ সেলফি কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে সেই টিউলিপ ফুল। পার্কে মাসব্যাপী ফুল উৎসবে রয়েছে নৌকা প্রদর্শনী, ভায়োলিন-শো, ঘুড়ি উৎসব, পিঠা উৎসব, পুতুল নাচ, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও আর্ট প্রদর্শনী। প্রতিদিন সন্ধ্যায় শুরু হবে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এ মেলা আগামী ২৪ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত চলবে।