দুই জেলায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান

বাঁশখালীতে দুই হাসপাতাল ও তিনটি ল্যাব সাময়িক বন্ধ

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুটি বেসরকারি হাসপাতালসহ তিনটি ল্যাব সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর- বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দুটি বেসরকারি হাসপাতালসহ তিনটি ল্যাব সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করেন। সাময়িক বন্ধ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাঁশখালী পেসেন্ট কেয়ার হাসপাতাল, মাতৃসদন হাসপাতাল, মিনি ল্যাব, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সৈয়দ আকবরসহ থানার পুলিশ সদস্যরা। রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ভেজাল সার ও কীটনাশক মজুত রাখায় একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার রাজারহাট বাজারের অদূরে মেকুরটারী গ্রামে একটি বাসা থেকে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ভেজাল সার ও কীটনাশক উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রতারক রাশেদুজ্জামানকে (৪০) আটক করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুন্নাহার সাথি, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হৈমন্তি রায়, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান। সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরিতে ক্ষতিকর রং ব্যবহার ও চালের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার নীলফামারী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামসুল আলমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে অবস্থিত 'শাহ হোটেল অ্যান্ড নিরিবিলি' হোটেলকে ১০ হাজার টাকা ও জহুরুল হক সড়কে অবস্থিত ইমরান নামে এক চাল ব্যবসায়ীর চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দপুর উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলতাফ হোসেন ও সৈয়দপুর থানার পুলিশ সদস্যরা।