চকরিয়ায় দেড়শ' একর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দেড়শ' একর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গান্ধিপাড়া এলাকায় কে বা কারা এ লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেয়। সকালে লবণ চাষিরা মাঠে গেলে এসব দৃশ্য দেখতে পায়। জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান ও অপরাপর লোকজনের মালিকানাধীন দুইশ' একর জমি চিংড়ি চাষের জন্য চকরিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেকান্দর বাদশা নামে এক ব্যক্তি লিজ নেয়। বর্ষা মৌসুমে চিংড়ি চাষ হলেও শুস্ক মৌসুমে লবণ পানি ঢুকিয়ে এসব জমিতে লবণ উৎপাদন করা হয়। সেকান্দর বাদশা বলেন, স্থানীয় ৭২ জন লবণ চাষিকে এই জমি বর্গা হিসেবে দেওয়া হয়। গত দেড় মাস ধরে এসব কৃষক লবণ উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে। গত কয়েকদিন আগে পলিথিন বসিয়ে লবণ পানি ঢুকানো হয়। লবণও তৈরি হচ্ছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে অন্তত দেড়শ' একর জমির পলিথিন কেটে দিয়ে লবণ নষ্ট করে দেয়। চিংড়ি ঘেরের মালিক পক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান বলেন, কারা কেন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না। এতে ৭২ জন কৃষক তাদের পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বাহাদুর আলম বলেন, লাভের আশায় দুই একর জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করি। প্রতি একর জমি চাষের জন্য তৈরি করতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমি কি করব ভেবে পাচ্ছি না। কৃষক হেলাল উদ্দিন বলেন, দেড়শ' একর জমি বর্গা নিয়ে গত দেড় মাস ধরে চাষাবাদ করে লবণ মাঠের জন্য তৈরি করেছি। লবণ উৎপাদনের শুরুতে একদল দুর্বৃত্ত লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ায় আমাদের অন্তত ৮-১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দেওয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।