নানিয়ারচরে থামছে না নির্বিচারে পাহাড় কাটা
প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় কাটা চলছেই। উপজেলার কয়েকটি স্থানে পাহাড় কাটা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের মাটি কেটে সড়কের মাটি ভরাটের নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ঘিলাছড়ি ওয়ার্ডের সমাজকল্যাণ এলাকায় থেকে ১৭ মাইল পর্যন্ত পাহাড় কেটে রাস্তার ওয়ালের মাটি ভরাট করা হয়েছে।
এভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে পাহাড় কেটে মাটি দেওয়া হচ্ছে রাস্তার ওয়ালের। এক শ্রেণি অসাধু ব্যক্তিরা গভীর রাতের আধারে অপরূপ সৌন্দর্য পাহাড়গুলোকে কেটে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এতে সুশীল সমাজ বলছেন, পাহাড়ের সৌন্দর্য আর প্রাণিকুলের আশ্রয়স্থল ধ্বংস হচ্ছে। ভবিষ্যতে পাহাড় ধস বা পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার বুড়িঘাট আংশিক ও ঘিলাছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় কাটার ফলে ভবিষ্যতে ঘন বর্ষায় বাড়তে পারে পাহাড় ধসের মতো ঘটনা বা প্রাণহানি। একটি সূত্রে বলছে, বিগত ২০১৭ সালে রাঙামাটি জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার পাহাড় ধসের ঘটনায় ১৫০-এর বেশি লোক মারা যায়। কিন্তু নানিয়ারচর উপজেলায় দিনের পর দিন পাহাড় কাটা হচ্ছে, নির্বিচারে পাহাড় কাটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।
রাঙামাটি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, নানিয়ারচরের ঘিলাছড়িতে পাহাড় কাটাকে সড়ক বিভাগ উৎসাহ প্রদান করে না। এসব পাহাড় কাটাকে আমরা নিরুৎসাহিত করি।
এ বিষয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সেলিম এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড় কাটার সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠান জড়িত না। কে বা কারা করছে তিনি জানেন না।
স্থানীয়রা বলেন, পাহাড় যারা এভাবে কাটছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কঠোরভাবে জরিমানা করতে হবে, তবেই পাহাড় নিধন বন্ধ হবে।
এ বিষয়ে ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা জানান, 'রাষ্ট্রীয় স্বার্থে মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে পাহাড় কাটার অনুমতি গ্রহণপূর্বক কাটতে পারবে। কিন্তু আমার ঘিলাছড়িতে পাহাড় কাটার বিষয়ে কেউ অবগত নয়। এই বিষয়ে সরকারকে অবশ্যই শক্ত হাতে দমন করার জন্য অনুরোধ করছি।'
তিনি আরও জানান, নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদক অবগত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে দ্রম্নত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাহাড় কেটে ধ্বংস করা হয়েছে বনভূমি, যার ফলে বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।