উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

গাংনীতে প্রার্থীদের নেই কোনো প্রচার প্রচারণা

প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গাংনীর রাজনীতি একরকম ঝিমিয়ে পড়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বা প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা একেবারই নেই। প্রতীক না থাকার বিষয়টি ঘোষিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা করতে দেখা যায়নি। অন্য দলগুলো কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের প্রার্থী দেবে না বলে জানিয়েছে। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। ইতোপূর্বে নির্বাচনের অনেক আগ থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা গেলেও এবার তেমনটি দেখা যায়নি। শহর কিংবা হাট বাজারেও কোনো প্রচার প্রচারণা নেই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রতীক না থাকার বিষয়টি ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের মাঝে নেই নির্বাচনী ইমেজ। এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হচ্ছেন- মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান মুকুল, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, নারী নেত্রী নুরজাহান বেগম ও সাবেক এমপি পত্নী লাইলা আরজুমান বানু শিলা। এছাড়াও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাথুলু ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা ও মটমুড়া ইউপি চেয়ারম্যাস সোহেল আহম্মেদ। তবে প্রার্থীদের অনেকেই বলেছেন, দলের নেতাকর্মীরা চাইলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। এছাড়াও গাংনী উপজেলা জাকের পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সাহান কিবরিয়া নির্বাচনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের চেয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরা হচ্ছেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মিঠু, রাব্বি আহমেদ, ঠিকাদার ফারুক আহম্মেদ ও যুবলীগ নেতা আল ফারুক।