কলেজছাত্র খুনের ঘটনায় নবীগঞ্জ শহর রণক্ষেত্র

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেছে কলেজ ছাত্র রাইসুল হক তাহসিন (১৯)-এর। গত মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের চৌদ্দহাজারী মার্কেটের সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন। এ সময় মার্কেট ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়- বুধবার নবীগঞ্জ থানার এসআই সুমন সরকার কুর্শি ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের রাজ ম্যানশনে হত্যার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে যান। তখন আনমনু গ্রামের লোকজনের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হলে চেয়ারম্যান জানাজার নামাজের পর দক্ষ লোক নিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান চলে গেলে আনমনু গ্রামের লোকজন সিসিটিভি ছিনিয়ে নিতে চায়। রাজা ম্যানশনের লোকজন এতে বাধা দিলে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। উভয়পক্ষের লোকজন প্রচুর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। তাহসিনের সহপাঠী ও খালাতো ভাই নিয়াল আহমেদ মাহি জানায়- পরিকল্পিতভাবে কলেজের ঘটনার সূত্র ধরে ও পূর্বের আক্রোশ থেকে মঙ্গলবার রাতে তাহসিনকে ওসমানী রোডের চৌদ্দহাজারি মার্কেটের সামনে ছুরিকাঘাত করে মান্না ও তার সহযোগিরা। তাহসিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। নবীগঞ্জ থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ফের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে। অন্যদিকে তাহসিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।