জাকাত বোর্ড শক্তিশালী হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে : ধর্মমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাকাত বোর্ডকে শক্তিশালী করা সম্ভব হলে দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিত হবে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সে লক্ষ্য অর্জনে জাকাত বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে। বুধবার দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাকাত বোর্ড আয়োজিত দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের ভূমিকা বিষয়ক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, জাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ। সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর জন্য জাকাত আদায় করা ফরজ। এটি আর্থিক ইবাদত। ইসলামে নামাজকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাকাতকে। তিনি আরও বলেন, জাকাত ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার মূলভিত্তি। জাকাত আদায় করা হলে মানুষের ধন-সম্পদ থেকে গরিবের হক আদায় হয়। ফলে তা হালাল ও পবিত্র হয়। আবার জাকাতের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য দূর হয়, সমাজে দারিদ্র্যের হার কমে এবং সচ্ছল মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ইসলমিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলমের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ধর্মসচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ূর রহমান খান। দিনব্যাপী এ সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও ওলামায়ে-কেরাম অংশগ্রহণ করে।