সরকারি কাজের অজুহাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ফের শুরু হয়েছে বালু উত্তোলনকারীদের তান্ডব। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয় এবার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের দোহাই দিয়ে। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের অংশের কুশিয়ারা নদী থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী পর্যন্ত নৌপথে কোনো সরকারি ইজারাকৃত বালু মহাল না থাকলেও আজমিরীগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মধ্যাঞ্চলের নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে এই বালু। এতে করে পুনরায় কাকাইলছেও এর বদরপুর, বদলপুরের পিরোজপুর গ্রামসহ সরকারি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কৃষকের ফসল রক্ষা বাঁধ নদী ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়বে বলে আশংকা করেছেন স্থানীয়রা। বালু উত্তোকারীরা বলছেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশন নির্মাণের জন্য বালু দেওয়া হচ্ছে। আর উপজেলা প্রশাসনের দাবি বালু উত্তোলনের জন্য কাউকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। সরেজমিনে পৌর এলাকার ভাটী সমীপুর এলাকা সংলগ্ন কাকাইলছেও সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর পাড় থেকে কৃষি জমি ও সড়কের ওপর দিয়ে প্রায় কয়েক শত মিটার মোটা পাইপ বসিয়ে ড্যাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে বালু। জানা গেছে, সম্প্রতি পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনের ভবন ও ভবনে যাবার রাস্তা নির্মাণের কাজ দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে শুরু করা হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি যে প্রতিষ্ঠান করছেন সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের সৌলরীর বাসিন্দা মোসাব্বির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি বালু সরবরাহ ও ভরাটের দায়িত্ব নেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নদীতে আনলোড মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন মোসাব্বির চৌধুরী। এ বিষয়ে মোসাব্বির চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আমি বালু ভরাট করছি।' স্থানীয় বাসিন্দা রেজুয়ান রহমান ও দুলাল মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, 'গত কয়েক বছরে নদী ভাঙ্গনের ফলে আমাদের কারো ৫৬ শতাংশ কারে ৭০ শতাংশ আবার ফসলি জমি আবার কারো বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন যদি আবারো বালু খেকোরা সক্রিয় হয় তবে যা আছে তাও নদীতে বিলীন হয়ে গেলে আমাদের অবস্থা কি হবে পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, উক্ত প্রকল্পটি জনসাস্থ্যের আওতাধীন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এবিএম নামক কোম্পানি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, পৌরসভার ড্যাম্পিং স্টেশনের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বালু তোলা বা আনলোড করতে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।